যে, তাহাতেই তাহাদিগের কোমল মন্তক সকল চূর্ণ বিচূর্ণ হইয়া গিয়াছে। স্ত্রীলোকগণকে বর্ষার অগ্রভাগে বিদ্ধ করিয়া, যে পর্য্যন্ত না তাঁহাদিগের জীবনবায়ুর নিঃশেষ হইয়াছে, সেই পর্যন্ত তাঁহাদিগকে শূন্যমার্গে উত্তোলন করিয়া রাখা হইয়াছে। বালকবালিকাগণের ঘাড় মোচড়াইয়া, তাহাদিগের মৃতদেহ এক স্থানে স্তূপাকার করিয়া রাখা হইয়াছে। এককথায়, জুলুগণ ঐ স্থানে ৪১ জন শ্বেতকায় পুরুষ, ৫৬ জন শ্বেতাঙ্গিনী, ১৮৫ জন শ্বেত বালক বালিকা ও ২৫০ জন ভৃত্যকে নিহত করিয়া, তাঁহাদিগের যথাসর্বস্ব অপহরণপূর্ব্বক প্রস্থান করে।
ঐ দল, বুয়রদিগের উপর ভয়ানক অত্যাচার ও তাঁহাদিগের যথাসর্ব্বস্ব অপহরণ করিয়া, পুনরায় আর এক স্থানে গমন করে। এইরূপে নেটালের মধ্যে যে যে স্থানে বুয়রগণ আসিয়াছিলেন, তাহারা তাঁহাদিগের যতদূর সন্ধান পাইল, ততদূর তাহাদিগের উপরও ভয়ানক অত্যাচার করিয়া, তাঁহাদিগের যথাসর্বস্ব অপহরণপূর্বক, পরিশেষে তাহাদিগের রাজধানীতে আসিয়া উপস্থিত হইল।
জুলুগণ রাজধানীতে প্রত্যাগমন করিলে, অবশিষ্ট বুয়রগণ একত্র সমবেত হইয়া ভবিষ্যতে জুলুদিগের হস্ত হইতে কিরূপে নিষ্কৃতি লাভ করিতে পারিবেন, তদ্বিষয়ে পরামর্শ করিতে প্রবৃত্ত হইলেন। তাঁহাদিগের মধ্য হইতে দুই একজন বুয়র প্রস্তাব করিলেন, “নেটাল পরিত্যাগ করিয়া আমাদিগের স্থানান্তরে গমন করাই কর্ত্তব্য।” স্ত্রীলোকগণ এই কথা শুনিয়া, উপহাস-পূর্ব্বক তাঁহাদিগকে কাপুরুষ বলিয়া তিরস্কার করিতে লাগিলেন। যাহারা বিনা দোষে রক্তপাত করিয়াছে, তাহা-