পাতা:বৃত্রসংহার - প্রথম খণ্ড (হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়).pdf/১৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একাদশ সর্গ ! గ్రీ, বৈজয়ন্ত মাঝে ঐন্দ্রিলার নৃত্যাগারে, দৈত্যপতি পুত্ৰ-মুখ আনন্দে নেহারে। ঐন্দ্রিল বসিয়া বাম-পাশ্বে হাস্যমুখ, শচীর হরণ-বার্তা শুনিতে উৎসুক । রুদ্রপীড়ে সম্বোধন করি দৈত্যরাজ, কহিল। “ তনয়, দীপ্ত দৈত্যের সমাজ তোমার যশঃ-প্রভায়, তোমার বিক্রমে ; কিরূপে আনিলা শচী কহ অনুক্রমে । ” রুদ্রপীড়—বৃত্ৰপুত্ৰ—বাক্য সুবিনীত কহিলা পিতারে চাহি “ সামান্য সে, পিতঃ, সামান্য বীরতা তুচ্ছ কহিব কি আর, দেখিলাম স্বৰ্গে আসি ষেবা চমৎকার, সে কথা অগ্রেতে, তাত, শুনাও তনয়ে— নির্জীব নিরথি কেন অমর-নিচয়ে ? কবে হৈল, কিবা যুদ্ধ, কে যুদ্ধ করিল ? কোন বীর বাহুবলে বিপক্ষে মথিল ? বড়ই রহিল ক্ষোভ—আমি সে সমরে না লভিনু কোন যশঃ বুঝিয়। অমরে । না জানি যে ভাগ্যধর কত সুসৈনিক, আমার পূর্বের যশঃ করিল অলীক ।