পাতা:বৃত্রসংহার - প্রথম খণ্ড (হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়).pdf/৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিজ্ঞাপন । مسجد امام حساسیس কতিপয় কারণ বশতঃ অসম্পূর্ণ অবস্থাতেই এই পুস্তক প্রচার করিয়া প্রসিদ্ধ প্রথার অন্যথাচারে প্রবৃত্ত হইয়াছি। ভরসা করি পাঠকবর্গ আমার এ দোষ মার্জনা করিবেন। - নিরবচ্ছিন্ন একই প্রকার ছন্দঃ পাঠ করিলে লোকের বিতৃষ্ণ জন্মিবার সম্ভাবন আশঙ্কণ করিয়া পয়ারাদি ভিন্ন ভিন্ন ছন্দঃ প্রস্তার করিয়াছি । এই গ্রন্থে মিত্ৰাক্ষর ও অমিত্ৰাক্ষর উভয়বিধ ছন্দঃই সন্নিবেশিত হইয়াছে। মৃত মহোদয় মাইকেল মধুস্থদন দত্ত সৰ্ব্বাগ্রে বাঙ্গাল কাব্য রচনায় অমিত্ৰাক্ষর ছন্দে পদ-বিন্যাস করিয়া বঙ্গভাষার গৌরব বৃদ্ধি করেন। আমি তৎপ্রদর্শিত পথ যথাযথ অবলম্বন করি নাই । তদীয় অমিত্ৰাক্ষর ছন্দঃ মিণ্টন্‌ প্রভৃতি ইংরাজ কবিগণের প্রণালী অনুসারে বিরচিত হইয়াছে । কিন্তু ইংরাজি ভাষাপেক্ষ সংস্কৃতের সহিত বাঙ্গাল ভাষার সমধিক নৈকট্য-সম্বন্ধ বলিয়। যে প্রণালীতে সংস্কৃত শ্লোক রচনা হইয়া থাকে আমি কিয়ৎপরিমাণে তাছারই অনুসরণ করিতে চেষ্টিত হইয়াছি। বাঙ্গালায় লঘু গুৰু উচ্চারণ-ভেদ না থাকায় সংস্কৃত কোন ছন্দেরই অনুকরণ করিতে সাহসী হই নাই, কেবল সচরাচর সংস্কৃতমোকের চারি চরণে যেরূপ পদ সম্পূর্ণ হয়, তজপ