পাতা:বৃত্রসংহার - প্রথম খণ্ড (হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়).pdf/৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

43 বৃত্রসংহার। “যাও যুদ্ধে, তোমা অদ্য করি অভিষেক সেনাপতি-পদে, পুত্র, অমর স্বংসিতে ; যাও, যশঃ-বিমণ্ডিত হইয়া আবার এইরূপে আসি পুনঃ দাড়াও সাক্ষাতে।” রুদ্রপীড় হর্ষচিত্ত, পিতৃ-পদধূলি সাদরে লইল শিরে শুনিয়া ভারতী ; এ হেন সময়ে দূত, নৈমিষ হইতে প্রত্যাগত, সভাতলে হৈলা উপনীত। দূতে দেখি দৈত্যপতি, উৎসুক-হৃদয়, কহিল “সন্দেশৰহ, কহ প্রবেশিলা কিরূপে নগরীমধ্যে, শক্রসমাবৃত ? বাসবরমণী শচী, ভীষণ কোথায় ?” আশ্বস্ত হইয়া দূত কিঞ্চিৎ তখন, কহিতে লাগিলা অগ্রে প্রবেশ-উপায় ; চঞ্চল বায়ুতে যথা বিশুষ্ক পলাশ, রসন তেমতি তার বিচলিত দ্রুত । কহিলা ৫ প্রথমে যবে আসি নগরীতে, স্বৰ্গ হৈতে বহুদূর পর্বতশিখরে, হিমাদ্রি-ভূধর-অঙ্গে, প্রথম সাক্ষাৎ হইল আমার দেব-অমীকিনী সহ ।