छूभिक। অপার করুণাময় পরমেশ্বরের কৃপায় টকা, ভান্য, অমুবাদ ও টিপ্পনী সহকারে সম্পূর্ণ বৃহদারণ্যকোপনিষদ অন্ত মুদ্রিত হইয়া প্রচারিত হইল। উপনিষদসমূহের মধ্যে বৃহদারণ্যকোপনিব যে, কেবল আয়তনে ও বিষয়বাহুল্যেই বৃহৎ, তাহা নহে, অর্থগৌরবেও সৰ্ব্বাপেক্ষ অতি মহান ; বোধ হয়, এবিষয়ে কাহারো সন্দেহ নাই। এত বড় গ্রন্থের মুদ্রণাদি কার্য্যে যে, কিঞ্চিৎ কালবিলম্ব ঘটিয়াছে ; আশা করি, তজ্জন্ত সঙ্গদয় পাঠকগণ আমাদের যত্নের ক্রটী মনে করিবেন ন! | উপনিষদ্বমাত্রই মে, ব্রহ্মবিজ্ঞাপ্রকাশক বা ব্রহ্মবিষ্ঠাত্মক, উপনিষদ সংজ্ঞাই তদ্বিষয়ে সাক্ষা প্রদান করিতেছে ; কারণ, "উপনিষদ্ধ' শব্দের অর্থ বিশ্লেষণ করিলে ঐক্লপ অর্থই প্রতীতিগোচর হইয়া থাকে। উপনিষ্ট শব্দ হইতে কিপ্রকারে যে, ঐরূপ অর্থ লাভ করা যায়, তাই আমরা ইতঃ পূৰ্ব্বে বহুবার বলিঙ্কাছি ; স্কুৎপাং এথানে আর তাহার পুনরুল্লেথ নিপ্রয়োজন। এখন বৃহদারণ্যকোপনিষদ্ধ সম্বন্ধে যাহা কিছু বিশেষ বক্তব্য আছে, এখানে আমরা সংক্ষেপত: কেবল তাঙ্কারই আলোচনা করিব । প্রসিদ্ধ বন্ধুৰ্ব্বেদ দুই ভাগে বিভক্ত—এক শুরু, অপর কৃষ্ণ । অন্তান্ত বেদের ষ্ঠার শুক্ল যজুন্মেদও বহু শাখায় বিভক্ত ; তন্মধ্যে কাং ও মাধ্যদিননামক শাখা দুইটী এদেশে সমধিক প্রসিদ্ধ। অম্লান্ত বেদশাখার স্থায় এই কাং ও মাধ্যদিন শাখায়ও দুইট স্বতন্ত্র ‘ব্রাহ্মণ সংযোজিত আছে। ঐ ব্রহ্মণদ্বয় শতপথ ব্রাহ্মণ' নামে পরিচিত ; তন্মধ্যে কাংশাখীয় ব্রাহ্মণটা সপ্তদশ কাণ্ডে সমাপ্ত, আর মাধ্যশিন-শার্থীয় ব্রাহ্মণটা পঞ্চদশ কাণ্ডে সম্পূর্ণ হইয়াছে। এই উভয় হ্রাহ্মণেরই কাওস্কর আরণ্যক’ নামে প্রসিদ্ধ, এবং তাছারই শেষাংশে দুইখানি উৎকৃষ্ট উপনিষদ পরিবদ্ধ আছে। উক্ত ব্ৰাহ্মণদ্বয়ের মধ্যে কেবল যে, নামেরই একমাত্র সামা আছে, তাছা নছে ; উভয়ের মধ্যে ভাষা ও বিষয়গত সাম্যও যথেষ্ট্র রহিয়াছে। অধিক কি, অনেক স্থলে একই শ্রুতি উভয় এাহ্মণের মধ্যে অবিকলভাতে সন্নিবদ্ধ রহিয়াছে, দেখিতে পাওয়া যায়। কোথাও বা একই জf
