প্রথমোছধ্যায়ঃ-চতুৰ্থং ব্রাহ্মণম্। Abe > করিলে সহজেই পুৰ্ব্বোক্ত ফলে লোকের বৈরাগ্য জন্মিতে পারে ] ; অতএব জ্ঞানমিশ্রিত কৰ্ম্মফলের যে, উৎকর্ষ বর্ণনা, তাহ পরবর্তী ব্রহ্মব্রিস্তার প্রশংলার্থও বটে। মুমুকু ব্যক্তির ইহাই একমাত্র প্রাপ্য, সেই এই আত্মবস্তুটি পুল অপেক্ষাও প্রিয়’ ইত্যাদি শ্রুতিতেও এই অভিপ্রায়ই প্রকটত করা হইৰে । ১ শ্রুতির ‘জাত্মৈৰ’ এই আত্মা অর্থ—প্রজাপতি, যিনি অগু হইতে জাত প্রথমশরীরী বলিয়া অভিহিত । বেদোক্ত জ্ঞান-কৰ্ম্মানুষ্ঠানের ফলস্বরূপ একমাত্র তিনিই-কি ? না, এই বিভিন্নজাতীয় অপরাপর শরীরোৎপত্তির পূৰ্ব্বে সেই প্রজাপতির শরীরের সহিত অবিভক্ত অর্থাৎ তদায়ক ছিলেন । ( প্রজাপতিস্বরূপই ) ছিলেন। সেই আত্মাও (প্রজাপতিও ) আবার পুরুষবিধ—পুরুষকৃতি হস্ত-মস্তকাদি সম্পন্ন বিরাট্স্বরূপ । সৰ্ব্বাগ্রে সমূৎপন্ন সেই প্রজাপতিই অনুবীক্ষণ করিয়া “আমি কে, এবং আমার লক্ষণ-বিশেষত্বই বা কি”, ইছা আলোচনা করিয়া—প্রাণসমষ্টিভূত এবং দেহেন্দ্রিরাত্মক আপনা হইতে পৃথগ ভূত অপর কোন ও বস্তু দর্শন করিলেন না ( দেখিতে পাইলেন না ), পরস্তু সৰ্ব্বাত্মস্বরূপে কেবল আপনাকেই দর্শন করিলেন । সেই রূপ, পুৰ্ব্বজন্মোৎপন্ন শ্রোত-বিজ্ঞান সংস্কারসম্পন্ন তিনি প্রথমে ‘আমি হুইতেছি—সেই প্রজাপতি, আমি হইতেছি—সকলের আত্মা’ এইরূপ উক্তি করিয়াছিলেন । যেহেতু প্রজাপতি পূৰ্ব্বজন্মজাত সংস্কারানুসারে প্রথমেই আপনাকে "অহম বলিয়া উল্লেখ করিয়াছিলেন, সেই হেতুই তিনি ‘মহৎ’ নামে পরিচিত হইলেন। ‘অহং’ নামই যে, তাঙ্গার শ্রুতি প্রদর্শিত উপনিষদ—গুহ নাম, তাহ পরে বলা হইবে । সেই হেতু, যেহেতু সৰ্ব্বকারণ প্রজাপতিতে এইরূপ ঘটনা হইয়াছিল, সেই হেতু, এখনও— বর্তমান সময়েও প্রজাপতির কার্য্যভূত (প্রজাপতি- প্রাণিগণের মধ্যে কেহ আমন্ত্রিত হইলে তুমি কে এইরূপে জিজ্ঞাসিত হইলে, প্রথমেই এই জামি’ (অয়ম্ অহস্থ ) বলিয়া অর্থাৎ আপনাকে কারণভূত প্রজাপতিরূপে পরিচিত করিয়া, তাহার পর বিশেষ নামজিজ্ঞাসু ব্যক্তিকে আপনার দেহুপিণ্ডের পরিচায়ক দেবদত্ত’ বা 'যজ্ঞদত্ত প্রভৃতি নাম বলিয়া থাকে,-যে নাম তাহার পিতা-মাতা দেহপিণ্ডের পরিচয়ার্থ রক্ষা করিয়াছেন, সেই নাম বলিয়া থাকে | ২ সম্প্রতি যাহার কৰ্ম্ম ও জ্ঞানভাবনা দ্বারা প্রজাপতিত্বলাভ করিতে ইচ্ছুক, সেই প্রজাপতিই সকলের প্রাজাপত্য-পদাভিলাষী অপর সকলের প্রথমে সমুৎপন্ন হইয়া, পূৰ্ব্বজন্মের সাধকাৰস্থার যথাষণরূপে অনুষ্ঠিত কৰ্ম্ম ও জ্ঞানভাবনা প্রজাৰে
