পাতা:বৃহদারণ্যকোপনিষদ্‌.pdf/২৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথমোছধ্যায়ঃ-চতুর্থ ব্রাহ্মণম্। ఫి(t:సి उ९शक्रभ’ ‘हेश नग्न-हेश नब्र' ‘लिनि बांशांडाख्द्रदर्डिंड' 'uहे श्रांज्रा अक' ইত্যাদি বাক্যার্থবোধের সমকালেই সৰ্ব্ববিষয়ে আকাজ নিরক্ত হইয়া যায়। আর এ কথাও বলিতে পারা যায় না যে, বিধি দ্বারা প্রেরিত ( নিয়োজিত) হইয়াই লোকে বাক্যার্থশ্রবণে প্রবৃত্ত হইয়া থাকে ; কারণ, তাছা হইলে বিধির জন্তও আবার অপর বিধির আবগুক হইয়া পড়ে ; সুতরাং এইরূপে যে অনবস্থাদোষ উপস্থিত হয় ; এ কথা আমরা পূর্বেই বলিয়াছি । আর “এক্স এব অদ্বিতীয়ম্ প্রভৃতি বাক্যে যে, কোন বিধি পাওয়া যাইতেছে, তাহাও নয় ; কারণ, ঐ সমস্ত বাক্য কেবল আত্মবস্তুর স্বরূপমাত্র নির্দেশ করিরাই ক্ষান্ত হইয়াছে। ২৮ ভাল, ঐ সমস্ত বাক্য যদি কেবলই বস্তুর স্বরূপমাত্র-প্রকাশক হয়, তাহ হইলে ত ঐ সমস্ত বাক্যের প্রামাণ্যই থাকিতে পারে না, আর যদি এরূপ বাক্যেরও প্রমাণ্য হয়, তাহা হইলে, “তিনি ( অগ্নি ) রেদিন করিয়াছিলেন ; তিনি, ষে রোদন করিয়াছিলেন, তাহাই রুদ্রের রুদ্র ত্ব অর্থাং রুদ্রসংজ্ঞার কারণ ইত্যাদি স্থলে যেমন শুধু বস্তু স্বরূপমাত্র কথিত হওয়ায় বাক্যের অপ্রামাণ্য হইয়াছে, তেমনি আত্মস্বরূপ প্রকাশক বাক্য গুলিরও অপ্রামাণ্য হইতে পারে? এ কথা যদি বল, তদুত্তরে আমরা বলি যে, ন,—অপ্রামাণ্য হইতে পারে না ; কারণ, উভয়ের মধ্যে বৈলক্ষণ্য আছে । অভিপ্রায় এই যে, বস্তুর স্বরূপকথন কিংবা ক্রিয়-কথন কখনই বাক্যের প্রামাণ্য বা অপ্রামাণ্যের কারণ নহে ; তবে কি ? না, নিশ্চিতফলক বিজ্ঞামেংপাদকত্বই | বাক্য প্রমাণ্যের কারণ। } যে বাক্য তাদৃশ জ্ঞান জন্মায়, তাঙ্গ প্রমাণ, আর যে বাক্য তাহা জন্মায় না, তাহাই অপ্রমাণ । ২৯ - অপিচ, মহাশয়, তোমাকে জিজ্ঞাসা করিতেছি যে, যে সমস্ত বাক্যে আয়ার স্বরূপ বর্ণিত আছে, সেই সমস্ত বাকো নিশ্চয়াত্মক সফল জ্ঞান সমুৎপন্ন হয় কি না ? যদি সফল জ্ঞান সমুৎপন্ন হয়, তাহা হইলে ঐ বাক্যের অপ্রামাণ্য হইবে কেন ? আর ঐ সমস্ত বাকাজাত বিজ্ঞান হইতে যে, সংসারের বীজভূত শোক, মোহ ও ভয় প্রভৃতি দোষনিবৃত্তিরূপ ফল সমুৎপন্ন হইয়া থাকে, তাহা কি দেখিতেছ না ? এবং তপন আয়ৈকত্বদর্শীর শোকই বা কি, জার মোহই বা কি ?’ ‘হে ভগবন, আমি কেবল মন্ত্রতত্ত্বই জানি, কিন্তু আত্মতত্ত্ব জানি না, সেই আত্মজ্ঞানবিহীন আমি ছ:প ভোগ করিতেছি। সেই আমাকে আপনি শোকের পরপারে উত্তীর্ণ করুন' এই জাতীয় শত শত শ্রুতিবাক্যও কি শুনিতেছ না ? [ এখন জিজ্ঞাসা করি— | "পোখরোধীখ”