পাতা:বৃহদারণ্যকোপনিষদ্‌.pdf/৩৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথমোছধ্যায়ঃ—পঞ্চমং ব্রাহ্মণম্ l ©ዓፄ তন্মধ্যে -“বৎ সপ্তাল্পনি মেধয়া তপসাইজনয়ৎ পিত” এই মন্ত্রের অর্থ কি ? বলা হইতেছে—প্রসিদ্ধার্থ-প্রতিপাদক হি-শব্দেই উত্তর-প্রদানের কথা বলিয়। ধিতেছে ; অভিপ্রায় এই যে, উক্ত মন্ত্র-সমূহের অর্থ ত প্রসিদ্ধই আছে। আর “বং অজনয়ৎ" ( তিনি যে উৎপাদন করিয়াছিলেন, ) এই বাক্যটিও অনুবাদাকারে প্রযুক্ত হইয়াছে ; প্রসিদ্ধের পুনরুল্লেথকে অনুবাদ বলে । ] সুতরাং তাহা দ্বারাও ইহার প্রসিদ্ধত্বই প্রকাশ করা হইয়াছে ( 2 ) ; এই কারণে উক্ত ব্ৰাহ্মণএতি নিঃশঙ্কভাবেই বলিয়াছেন-—“মেধয়। ঙ্গি তপস অঞ্জনয়ৎ পিত” ইতি । ১ ভাল, জিজ্ঞাসা করি, এ কপাট প্রসিদ্ধার্থক কিসে? হুঁ, বলা হইতেছে— জায় হইতে কৰ্ম্মপৰ্য্যন্ত যে সমস্ত লোক ফলের সাধন উক্ত হইয়াছে, পুরুষই সে সমুদায়ের প্রত্যক্ষপিদ্ধ পিতা, “আমার জায়া উক" ইত্যাদি বাক্যেও সে কথাই অভিহিত হইয়াছে ; আর দৈব বিত্ত বিদ্যা, কৰ্ম্ম ও পুল, এই তিনটি যে, ফলস্বরূপ লোকসমুহের সৃষ্টি-সাধন, এ কথাও বলা হইয়াছে ; এবং পরেও যাহা বলা চইবে, তাহ ও প্রসিদ্ধ আছে ; অতএব “মেধয়া" ইত্যাদি কথা অবগুই বলা ঘাইতে পারে । ২ ফলের উদ্দেষ্ঠেই যে, এষণ বা কামনার প্রবৃত্তি হইয়া পাকে, ইহাও জগতে স্বপ্রসিদ্ধ ; আর জায় প্রভৃতি বিষয়ই যে, এষণ বা এষণার বিষয়, এ কথাও এভাবান বৈ কামঃ" এই বাকোই অভিহিত হইয়াছে, কেননা, ব্রহ্মবিদ্যালাভে সৰ্ব্বত্র একত্ব দর্শনলাভ অর্থাৎ একাত্মভাব দর্শন হইয়। পাকে ; সুতরাং সেখানে আর কোন প্রকার কামনা হইতে পারে না ; ইহু। দ্বারা এ কথাও বলা হইল যে, স্বভাবসিদ্ধ আশাস্ত্রীয় জ্ঞান ও কৰ্ম্ম দ্বারা জগতস্থষ্টি হইয়া থাকে ; কেননা, স্থাবরত্বপ্রাপ্তি পৰ্য্যন্ত যে সকল অনিষ্ট ফল, কৰ্ম্ম-বিজ্ঞানই তাহার নিদান । প্রকৃতপক্ষে কিন্তু শাস্ত্রোক্ত সাধ্যসাধনভাবই অর্থাৎ শাস্থেতে যে যে কৰ্ম্ম ও বিজ্ঞানকে যে যে ফলের হেতু বলিয়া নির্দেশ করিয়াছে, সেইরূপ কাৰ্য্য-কারণভাবই শ্রীতির অভিপ্রেত, (কিন্তু অশাস্ত্রীয় সাধ্যসাধনভাব নঙ্গে ) ; কারণ, ব্রহ্মবিদ্যার বিধান করাই যখন শ্রীতির অভিপ্রেত, তপন অশাস্ত্রীয় বিষয়ে বৈরাগ্য-সমুংপাদন করাও তাহার অবন্তই অভিপ্রেত ; অতএৰ বুঝিতে হইবে যে, ব্যক্তব্যেক্তময় এই সমস্ত সংসারই অশুদ্ধ, অনিত্য, (২) তাৎপৰ্য্য—প্রসিদ্ধ বিষয়ের প্রকাশক বাক্যকে অনুবাদ বলে। আলোচ্য স্থলে কেৰল সপ্তপ্রকার অন্নের উৎপাদন মাত্র উল্লেখ করা হইয়াছে, কিন্তু কি প্রকারে বা কখন, হইয়াছে, সে সম্বন্ধে বিশেষ কোন কথাই নাই; কাজেই ইহাকে একপ্রকার সিদ্ধবং নিৰ্দেশ বল বাইতে পারে এই জন্তই ভাতৃকার এই কথাটকে অনুবাদের তুল্য বলিয়াছেন । , ,

  • . ・ 9* . . . . . " '