প্রথমোহধ্যায়ঃ-—পঞ্চমং ব্রাহ্মণম্। రి-రి বটে যে, সমস্ত দেবতার অন্নরূপে আপনাকে আহুতিময় করিয়া—সমস্ত দেবতার সঙ্গে একাক্ষ্মভাব বা অভিন্নভাব প্রাপ্ত হইয়া—নিজে সৰ্ব্বদেবময় হইয়া যান, কাজেই পুনৰ্ব্বার আর মৃত্যু লাভ করে না । স্বয়ং ব্রাহ্মণও এ কথা বলিয়াছেন— ‘স্বয়ষ্ণু ব্ৰহ্মা তপস্যা করিয়াছিলেন ; তিনি বুঝিতে পারিয়াছিলেন যে, তপস্তাতে অনন্ত ফল লাভ হয় না ; আমি ভূতগণের উদেন্তে আপনাকে এবং ভূতসমূহকেও আমাতে আহুতি প্রদান করিব। এইরূপে আপনাকে সৰ্ব্বভূতে এবং সৰ্ব্বভুতকে আপনাতে আহুত করিয়া সৰ্ব্বভূতের শ্রেষ্ঠত্বরূপ স্বারাজা আধিপত্য লাভ করিব" ইত্যাদি । ১৬ - * 'সৰ্ব্বদা ভক্ষিত হইয়াও সেই অন্নসমূহ ক্ষয় প্রাপ্ত হয় না কেন ? এ কথার অর্থ এইরূপ---পিত। যে সময়ে সপ্তপ্রকার অন্ন স্থষ্টি করিয়া বিভিন্ন প্রাণীর উদ্দেশে ভিন্ন ভিন্ন অন্ন প্রদান করিলেন, সেই সময় হইতেই সেই সমস্ত ভোক্তৃগণ । কর্তৃক অল্পসমূহ নিরন্তর ভক্ষিত হইতেছে ; অতএব ক্ষয়ের কারণ বিদ্যমান থাকায় সে সমুদায়ের ক্ষয় হওয়াই উচিত ; অথচ সে সমস্ত অল্প আজও ক্ষয় প্রাপ্ত হইতেছে না ; কারণ, আজও অন্ন-জগতের অক্ষুণ্ণরূপে অবস্থিতি দেখ! যাইতেছে ; অতএব, ইহা ক্ষয় না হইবার নিশ্চয়ই একটা কারণ আছে ; এইজন্ত জিজ্ঞাসা হইতেছে যে, কি কারণে সে সমুদয় অল্পের ক্ষয় इङ्ग्रेटङ८झ मा ? ०१ ইহার প্রত্যুত্তর এই—“পুরুষঃ অক্ষিতিঃ",—এই পিতা প্রথমে যেমন জ্ঞান ও পত্নীসাপেক্ষ পাদ্ভূক্ত কৰ্ম্ম দ্বারা উক্ত অল্প সমূহের স্বষ্টি ও ভোগ করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন, তেমনি তিনি যাহাঁদের উদ্দেশ্যে অন্নপ্রদান করিয়াছিলেন, তাহারাও নিশ্চয়ই সেই সমুদয় অল্পের ভোক্ত ও পিতা (শ্রষ্ট ) বটে ; কারণ, তাহারাও স্বীয় জ্ঞান ও কৰ্ম্ম দ্বারা সেই সমুদয় অল্প উৎপাদন করিতেছে। সেই এই কথাই বলা হইতেছে যে, পুরুষ—যিনি অন্ন ভোজন করিয়া থাকেন, সেই ভোক্তাই অক্ষিতি অর্থাৎ অন্নক্ষয় না হইবার কারণ । ভাল কথা, এই পুরুষই অক্ষয়ের হেতু হয় কি প্রকারে ? তজন্তরে বলিতেছেন—যেহেতু, এই পুরুষ ( জীবগণ) কৰ্ম্মের ফলস্বরূপ কাৰ্য্যকরশাত্মক এই দৃশুমান সপ্তপ্রকার অন্ন ভোজন করত সেই পুরুষই আবার বিবিধ বুদ্ধি দ্বার-সময়োচিত বিশেষ বিশেষ জ্ঞান দ্বার, এবং কশ্ব দ্বারা অর্থাৎ বাক্য, মন ও শারীর চেষ্টার সাহায্যে বারংবার উৎপান কৰি থাকে। জ্ঞান ও কর্থের সাহায্যে যদি ক্ষণকালও যথোক্ত এই সপ্তপ্রকার জয় সমুৎপাদন না করিত, জহা হইলে অবশুই বিচ্ছিন্ন হইত,
