পাতা:বৃহৎকথা - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

80 বৃহৎকথা । কোন পুরুষকে ধরিতে পারিলে প্রহরীর উভয়ঙ্ককই সেই মন্দির মধ্যে সমস্ত রাত্রি বদ্ধ রাখিয়া প্রাতঃকালে রাজ সভায় অনিয়া উপস্থিত করিবে, এবং পরে রাজ তাহার বিচার করিয়া উপযুক্ত দণ্ড বিধান করিবেন। এক দিবস রাত্রিকালে সমূদ্রদত্ত নামে এক বণিক এক পরবণিতার সহিত প্রহরী কর্তৃক ধৃত হইয়। সেই যক্ষমন্দিরে রুদ্ধ হয়, তখন সমূদ্রদত্তের পত্নী পতিব্ৰতা শক্তিমতী ঐ বার্তা শ্রবণ করিয়া সখীগণ সমভিব্যাহারে স্বামীর উদ্ধারার্থ পূজোপহার স্তে লইয়া দেবমন্দির দ্বারে উপস্থিত হইবামাত্র পূজার্থ আগমন মনে করিয়া প্রহরী দ্বার উদঘাটন করিয়া দিল এবং শক্তিমতী মন্দিরে প্রবেশ করিয়া স্বীয়বস্ত্রীলঙ্কারাদি ঐ পরবণিতাকে পরাইয়া সখীগণ সহিত মন্দির হইতে তাহাকে বাহির করিয়া দিয়া স্বয়ং স্বামি সহিত সেই মন্দির মধ্যে রাত্রি যাপন করিল। পরদিন প্রাতঃকালে প্রহরী শক্তিমতী সহিত সমুদ্রদত্তকে রাজসভায় উপস্থিত করিলে রাজা স্বীয় স্ত্রী সহিত সমুদ্রদত্তকে দেখিয়া প্রহরীকে দণ্ডপ্রদান করত দম্পতীকে অদোষ-স্পর্শিত জানিয়া মুক্ত করিলেন, এই রূপে শক্তিমতী স্বীয় পতিকে রক্ষা করিয়াছিলেন, আমিও সেইরূপে আমার পঞ্জকে রক্ষা করিব, তাহার সন্দেহ নাই। স্বামিকে আনয়নার্থ দেৰস্মিতার কটাহ দ্বীপে গমন ও রাজসভায় বণিকপুত্র গণের দণ্ড বিধান । দেবস্মিতা স্বপ্নকে এই কথা কহিয়া দাসীকে ভূত্য