পাতা:বৃহৎকথা - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

怒° বৃহৎকথা । সুস্নিগ্ধ ভোজন পান প্রদানপূর্বক জিজ্ঞাসা করতে সে কহিল, মাতঃ! তুমি আমাকে ক্লেশ দিয়া স্বীয় সন্তান দিগকে সুখভোগ করাইয়া থাক । এখনও যদি তাহ হইতে ক্ষান্ত হও, ভালই, নতুবা তাহার প্রতিফল দিব । ইহ শুনিয়া বিপ্ৰপত্নী ভয়ে শপথ করিয়া কহিল,হে পুত্ৰ ! আমি আর এমন কৰ্ম্ম কখন করিব না, অতএব তুমি যাহা করিয়াছ এক্ষণে তাহার প্রতীকার কর। তখন ৰালবিনষ্টক এক খানি দর্পণ হস্তে করিয়া পিতার নিকট গমনপূর্বক সম্মুখে ধরিয়া কহিল, তাত দেখ, ইহার ভিতরে আমার আর এক পিতা রহিয়াছে। ইহা শ্রবণ করিয়া রুদ্রশৰ্ম্ম আশঙ্কা পরিত্যাগ পূৰ্ব্বক অকারণ-দূষিত পত্নীর প্রতি প্রসন্ন হইয়া সুখে কাল যাপন করিতে লাগিলেন । বালকও রুষ্ট হইলে এইরূপ দোষ উদ্ভাবন করিতে সমর্থ হয়, অতএব সৰ্ব্বসাধারণের মনোরঞ্জন করাই কৰ্ত্তব্য, ইহা বলিয়া যৌগন্ধরায়ণ রুমানের সহিত বৎসরাজের বিবাহোৎসব উপলক্ষে আবাল বৃদ্ধ হীন প্রধান সকলেরই মনোরঞ্জন করিতে লাগিলেন। তখন সকল লোকের সন্তোষ দেখিয়া রাজা আহলাদে স্বয়ং সেই সেনাপতি ও মন্ত্রী উভয়কে বস্ত্ৰ অলঙ্কার ও গ্রামাদি প্রদান করিলেন। এই রূপে বৎসরাজের বিবাহোৎসব সমাপ্ত হইলে গোপীলঙ্ক বৎসরাজ কর্তৃক সম্মানিত হইয়া তথা হইতে স্বীয় গৃহে প্রস্থান করিলেন এবং বৎসরাজ উদয়নও বাসবদত্তার সহিত পরম সুখে কাল যাপন করিতে লাগিলেন।