পাতা:বৃহৎকথা - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রহৎকথা । , 8s. কালে দৈধৰণী হইল বে এই কন্যার আয়ুশেষ হইয়াছে : অতএব রুরু ! তুমি যদি ইহাকে স্বীয় আয়ুর অর্থ প্রদান কর, তাহ হইলে কন্যা জীবিত হয়। ইহা শ্রবণ করিয়া রুরু নিজ আয়ুর অৰ্দ্ধ প্রদান করত তাহাকে জীবিত করিয়া বিবাহ করিলেন, কিন্তু সর্পজাতির প্রতি ভদবধি তাহার এমন ক্ৰোধ জন্মিল যে, যে সর্পকে তিনি সম্মুখে দেখেন তাহাকেই বধ করিতে লাগিলেন। একদা এক ভুণ্ডছকে দেখিয়া তিনি মারিতে উদ্যত হইলে, ভুৰুভ মানুষ ভাষায় কহিল, ব্রহ্মমৃ ! তুমি সপের প্রভি ক্রোধ করিয়া ভুঞ্জভকে কেন বধ কর । সর্প তোমার প্রিয়াকে দংশন করিয়াছে সুগুত নহে। সৰ্পে ও ভুণ্ডুভে কত প্রভেদ তাহ শ্রবণ কর, সৰ্পের বিষ আছে, ভুঞ্জভের বিষ নাই। ইহা শ্রবণ করিয়া রুরু কহিল, তুমি মর্ভ্যের ন্যায় কথা কহিতেছ, অতএব তুমি কে তাহ বল। ইহাতে ভুণ্ডুভ উত্তর করিল, আমি মুনি পুত্র, বশিষ্ঠ ঋষির শাপে ভুগুত হইয়াছি, তোমার সহিত কথোপকথন পৰ্য্যন্তই আমার শপিবেশন। ইহা বলিয়। ভুণ্ডুভ শাপ মুক্ত হইয়া অন্তহিত হইল এবং রুরাও তদবধি" ভুঞ্জুড় হত্যা হইতে নিরস্ত হইলেন। হে দেবি ! আমি তোমাকে এই দৃষ্টান্ত প্রদর্শনার্থনিরপরাধী ডুণ্ডুক্ত প্ৰহারের কথা কহিয়াছি। ইহা শ্রবণ করিয়া রাণী বাসবদত্ত বসন্তকের প্রতি পরম পরিতুষ্ট হইলেন এবং রাজা উদয়নও তদবধি সুখাসক্ত চিত্ত হইয়া মন্ত্রিগণের প্রতি 6: