পাতা:বৃহৎ বঙ্গ - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিজয় কর্তৃক লঙ্কা অধিকার যদি তুমি আজই ইহাদিগকে বধ কর, তবে পরিবে ; কিন্তু ইহার পরে আর তাহা সম্ভবপর হইবে না।” বিজয় বলিলেন, “ আমি ইহাদিগের সঙ্গে কিরূপে পারিব ? ইহার তো অদৃশ্য হইয়া থাকে ?” যক্ষী বলিল, “ সে যাহাই হউক, তুমি ভীত হইও না ; আমি যেখানে যেখানে চীৎকার করিব, তুমি সেইখানে সেইখানে লক্ষ্য-সন্ধান করিবে । আমার বাদুবিদ্যার গুণে তোমার অন্ম তাহদের শরীরে পতিত হইবে।” এই কথা শ্রবণমাত্র বিজয় যক্ষীর উপদেশানুসারে যক্ষদিগকে সংহার করিলেন। এইভাবে জয়লাভ করিয়া তিনি যক্ষরাজের পরিচ্ছদ পরিপান করিলেন এবং তাহার সঙ্গীদের মধ্যে অপর একজনকেও সেইরূপ পরিচ্ছদ দিলেন। কতকদিন সেইখানে বাস করিয়া বিজয় তামপাণি নগরে গমন করিলেন, এইখানে এক রাজধানীর প্রতিষ্ঠা করিলেন এবং সেই যক্ষ্মীকে লইয়া স্বীয় মন্ত্রিবর্গসহ তথায় বাস করিতে লাগিলেন । s যখন বিজয়ের সঙ্গীবা লঙ্কাদ্বীপে আসিয়া gg-c ಇtಠಿತಿ' হাত রাখিয়া বসিয়া পড়িয়াছিলেন, তখন তাহারা দেখিতে পাইয়াছিলেন, সেই দেশের লাল মাটীর গুণে তঁহাদের করতলে তামবৰ্ণ ধারণ করিয়াছে। এইজন্য র্তাহারা সেই স্থানের নাম “ তাম্রপাণি ” রাখিয়াছিলেন। এদিকে বিজয়ের পিতা সিংহবাহু সিংহবন্ধ করার জন্য ‘‘‘ সিংহল৷ ” নাম পাইয়াছিলেন ; তদবধি তাহার সহচর ও আত্মীয়গণ ঐ নামে পরিচিত হইতেন ; এই সংস্রবহেতু বিজয়ের লোকজনেরাও “ সিংহল * নামে অভিহিত হইতেন। ན་ বিজয়ের মন্ত্রীদিগের মধ্যে সেখানে কেহ কেহ নূতন নগর স্থাপিত করিয়াছিলেন। কদম্ব নদীর যন্ম - বিজয় | নুতুন নূতন নগব-স্থাপন। তীরে অনুরুদ্ধ নামক বিজয়ের এক অমাতা যুদ্ধ-জারান্তে বিজয়ের প্রমোদোৎসব। * অনুরুদ্ধ ” গাম ( অনুরুদ্ধ গ্রাম) স্থাপন (অজন্তা-চিত্র হইতে গৃহীত) করেন। ঐ গ্রামের উত্তরে গাম্ভীরা নদীর তীরে পুরোহিত উপতিয় “উপতিয়া “” গাম (উপাতিস্ত গাম) সংস্থাপন করিয়াছিলেন। বিজয়ের আর তিন জন অমাত্য উজ্জনি, উরুৰিৰ এবং বিজিত নামক তিন পলী স্থাপন করেন । ܦ݁ܟ݂