পাতা:বৃহৎ বঙ্গ - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঐতিহাসিক যুগ, বুদ্ধদেব RSy অন্ত্রোপচায় করিয়া পুত্রকে বহির্গত করা হইয়াছিল। লৌকিক সংস্কার-গৌতমৰুদ্ধ জননীর কুক্ষি ভেদ করিয়া অবতীর্ণ হইয়াছিলেন। মহাপুরুষেরা প্রায়ই অযোনিসম্ভব ; প্রবাদটি এই প্রাচীন সংস্কারের প্রতিপোষক হইতে পারে,-নতুবা ইহা অন্ত্রোপচারের ইঙ্গিত-সুচক । জন্মের কয়েক দিনের মধ্যেই তিনি মাতৃহারা হইলেন। তাহার জন্ম হইতে তরুণ যৌবনাবধি জীবনকাহিনী অনেক উপগল্পজড়িত । শাক্যবংশে জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন বলিয়া তিনি শাক্যসিংহ বলিয়া খ্যাত, তাহার অপর নাম গৌতম । খৃষ্টীয় প্ৰথম শতাব্দীতে মহাকবি অশ্বঘোষ বুদ্ধের চরিত্যকথা কবিত্বচ্ছটায় উজ্জ্বল করিয়া দেখাইয়াছেন, তৎপূর্বে ললিতবিস্তরে সেই আখ্যায়িকা বিবৃত হইয়াছিল। অশ্বঘোষের বুদ্ধচরিত অবলম্বন করিয়া ইংলণ্ডের সুবিখ্যাত কবি এডুইন আরনল্ড ‘এশিয়ার আলোক’ নামক কাব্য লিখিয়াছেন । ইহা ছাড়া বুদ্ধদেবের পূর্বকার জন্মকাহিনী-সংবলিত বৌদ্ধজাতকগুলি নানারূপ অতিরঞ্জন ও গল্পের সাজসজ্জা লইয়া ভক্ত পাঠকমণ্ডলীর শ্রদ্ধা পাইয়া আসিয়াছে। যদিও এই সকল জন্মকথার অধিকাংশেরই কোন ঐতিহাসিক ভিত্তি নাই, তথাপি বুদ্ধজন্মের পূর্ববৰ্ত্তী তৎকাল-প্রচলিত ভারতীয় নানা প্ৰবাদ এই জাতিক-কাহিনীগুলিতে স্থান লাভ করিয়াছে। এই নিমিত্ত DDYirBB BD DBD DB BDDDS “পঞ এঃ এঃসত পঞ এপ্লাস” ( ৫৫০ ) জাতকে বুদ্ধদেবের ঐ সংখ্যক জন্মের বৃত্তান্ত আছে ; ইহা ছাড়া আরও অনেক জন্মের কথা নানা উপাখ্যানে প্ৰাপ্ত হওয়া যায়। * বুদ্ধ মনুষ্যরূপে, অথবা পক্ষী, কুকুর, মৃগ, মৎস্য, মৰ্কট, ইন্দুর প্রভৃতি যেরূপেই যেখানে অবতীর্ণ হইয়াছেন—সেইরূপেই কোন না কোন মহৎ গুণের আদর্শ দেখাইয়াছেন । বৌদ্ধগণ যে সকল গুণ সৰ্বশ্ৰেষ্ঠ মনে করেন, জাতকের উপগল্পে মনুষ্য ও জীবজন্তুরূপে বুদ্ধ সেই সকল গুণের পরা কাষ্ঠা দেখাইয়াছেন। যদিও অনেকগুলি উপাখ্যানেই ত্যাগধৰ্ম্মকে খুব বড় করিয়া দেখানো হইয়াছে, তথাপি সাহস, তেজ, বীৰ্য্য প্ৰভৃতি গুণও কোমলতার গুণরাশির আড়ালে পড়ে নাই। গৌতম কাঠবিড়াল-জন্মে বিন্দু বিন্দু জল তুলিয়া সমস্ত সমুদ্র শোষণ করিতে কৃতসঙ্কল্প হইয়াছিলেন,-“এই জন্মে। তিনি “ৰীৰ্য্যপারমিতা” সম্পন্ন করেন । এইভাবে সিংহ-জন্মে “সত্যপারমিতি” এবং বেশ্মান্তরজাতকে “শীলপারমিতি” এবং মাির্কট-জন্মে “প্ৰজাপারমিতা” সম্পাদন করেন। কিন্তু ত্যাগমূলক কাহিনীগুলিই সৰ্ব্বাপেক্ষা চিত্তাকর্ষক হইয়াছে। আমরা এখানে একটি জাতকের বৃত্তান্তের উল্লেখ করিব, আরনল্ড এই গল্পটি তাহার কাৰ্যে মনোরম ভাষায় বর্ণনা করিয়াছেন । 尋f5て卒す **

  • কথিত আছে, যুগে যুগে জগতে অসংখ্য বুদ্ধের আবির্ভাৰ হইয়াকে, তন্মধ্যে সর্বশেষ যুদ্ধ চতুষ্টয়ের बांक्ष-कूष्मिहन ( श्ः °ः ७»०» ), कमकमूनि (ई: १: २००० ), कांचrों (भूः १: २०se ) dव९ শাক্যসিংহ ৫৬৩ খৃঃ পূর্বে জন্মগ্রহণ করেন। বৌদ্ধশাস্ত্ৰে এই বুদ্ধত্ব-প্রাপ্ত চারিটি মহাপুরুষ যে যুগে জন্মগ্রহণ করেন, তাঁহা "মহাতন্ত্রকল্প” নামে উলিখিত হইয়াছে।