পাতা:বৃহৎ বঙ্গ - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ሕ 8 বৃহৎ বঙ্গ পুত্র সন্ন্যাসী হইয়া যশস্বী হইবেন, ইহা সচরাচর কেহ চান না ; জনকজননী ইচ্ছা করেন, যেন পুত্র রাজচক্ৰবৰ্ত্তী হন। কিন্তু অল্পবয়স হইতেই দেখা গেল, গৌতম ভাবুকের মত বসিয়া চিন্তা করেন এবং তিনি কতকটা উদাসীন। এক সময়ে তাহার খুলতাত-পুত্ৰ দেবদত্ত একটি কপোতের প্রতি শরক্ষেপ করেন, প্ৰাণের ভয়ে পক্ষীটা শিশুগৌতমের ক্ৰোড়ে আশ্ৰয় লয়। গৌতম তাহার বক্ষ হইতে শার তুলিয়া ফেলিয়া যত্নপূর্বক তাহার ক্ষতস্থানে ঔষধের প্রলেপ দিয়া প্রাণরক্ষা করেন । তাহার ভ্রাতা সেই কপোতটি স্বয়ং BDt DDBtDB DBBD DBDD DDD DDBDBD BS DB DB BDDDB DBB DSS rBLBBB কাছে বিচারার্থ এই শিশুদের মোকদ্দমা উপস্থিত হইলে তিনি বলিলেন “গৌতম, তুমি ইহাকে কপোতটি দাও না কেন ? উহা ইহারই প্ৰাপ্য, যেহেতু উহা সে শিকার করিয়াছে।” পঞ্চম বর্ষীয় গৌতম বলিলেন- “যে প্ৰাণ হরণ করিতে চাহে সে ইহা পাইবার যোগ্য কিংবা যে জীবন দান করিয়াছে, তাহারই এই জীবের উপর অধিকার, আপনি वि5ांद्र कझग्न !” এই ভাবের কাৰ্যকলাপ ও উক্তি-দ্বারা সংসারের প্রতি উপেক্ষা ও সর্বজীবের প্ৰাণ-হত্যাকারী এবং প্ৰাণ- প্ৰতি করুণার ভাব লক্ষ্য করিয়া গৌতম যে রাজ্য ত্যাগ '. अcक्षा काश्टू حة F *" করিয়া উত্তরকালে বনবাসী হইবেন, শুদ্ধোদনের মনে এই আশঙ্কা বন্ধমল হইল । অশ্বঘোষ লিখিয়াছেন, রাজা লোকের অগোচরে এক রাজকীয় প্ৰাসাদ প্ৰস্তুত করাইয়া বুদ্ধদেবকে তথায় রাখিলেন। সেখানে অতি সুকুমার-বয়স্ক, সুদৰ্শন বালকবালিকা ও কিশোরকিশোরীরা তঁহার সম্মুখে থাকিত। কেহ পীড়িত হইলে তাহাকে তৎক্ষণাৎ সেস্থান হইতে লইয়া যাওয়া হইত। সেখানে প্ৰাসাদসংলগ্ন পুম্পোদস্তানে নানা বর্ণের ফুল ফুটিত, কিন্তু ঝরিয়া পড়িবার পূর্বেই তাহা স্থানান্তরিত করা হইত। ཤ་ཡ་་་་་་་་་་་་་་་་་ এ** একটি শুকনা ফুল বা পাতা তথায় থাকিতে পাইত না। প্রাসাদের কোন স্থানে আবর্জনা বা বিসদৃশ দিব্য রাখিবার হুকুম ছিল না। সুতরাং নিরবধি গান, বাদ্য, ফুলের শয্যা, ফুলমালা, রত্নময় দীপাবলী, দুগ্ধফেননিভশয্যা এবং প্রিয়দর্শন তরুণতরুণী ছাড়া বালক গৌতমের চক্ষে আর কিছুই পড়িত না। পৃথিবীতে যে, রোগ, শোক, দুঃখ, দারিদ্র্য এবং নানাবিধ কষ্ট আছে, রাজকুমার তাহা কিছুতেই জানিতে পাইতেন না। মাঝে মাঝে রাজা স্বয়ং নানা বেশভূষায় সজ্জিত হইয়া পুত্রকে দর্শন দিতেন। এদিকে ধূপধুন, অগুরু ও চন্দনাদির গন্ধে প্রাসাদ আমোদিত থাকিত এবং মৃদু সমীয় সন্ম: প্রস্ফুটিত ফুলগন্ধে মাতোয়ারা হইয়া যখন কুমারের অঙ্গ স্পর্শ করিত, তখন তিনি ভাবিতেন, আমার পিতার রাজ্য কি সুন্দর। পৃথিবী কি মুখের। এই সংসারের কোলাহল হইতে সুদূরে অবস্থিত প্রাসাদে প্রবেশ করিবার পূর্বে যে পৃথিবী তিনি দেখিয়াছিলেন, তাহার সেই শৈশব-স্মৃতি মন হইতে মুছিয়া গেল এবং তঁহার চক্ষে সমস্ত জগৎটা একটা নন্দনকাননে পরিণত হইল।