পাতা:বৃহৎ বঙ্গ - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कूक्श्रास्क्ष्न, श्रदठ्ठीं भिंस्षुन• ७ नन्त्रश्* SO pale বা yellow (পীত ) । সুতরাং পাণ্ডবেরা নেপালী বা কুটিয়া দেশের লোক । দ্বিতীয়তঃ, পাণ্ডবদের মধ্যে অনাৰ্য আচার প্রচলিত ছিল-যথা, এক স্ত্রীর বহু স্বামী গ্রহণের প্ৰথা, সুতরাং তঁাহারা পাহাড়িয়া কোন অসভ্য সম্প্রদায়-ভুক্ত । এ কথাটা মনে রাখিতে হইবে অাৰ্য্যদিগের আচার-ব্যবহার চিরদিনই একরূপ ছিল না। আৰ্য্যদিগের ক্রমবিকশিত সামাজিক ভিন্ন ভিন্ন স্তরে যুগে যুগে নানা প্রথার অস্তিত্ব প্রমাণিত হয়। উদালক মুনির স্ত্রীকে যখন অপর এক ঋষি ধরিয়া লইয়া যান, তখন সেই স্ত্রীর প্রাপ্তবয়স্ক পুত্র রোষপূর্ণ চক্ষে সেই দৃশ্য দেখিয়া প্ৰতিবাদ করিয়াছিলেন ;- তখন তঁহার পিতা বলিয়াছিলেন :-“বৎস ৷ ইহাই প্ৰথা, যে যাহাকে ইচ্ছা করিবে, সে তাহাকে পাইবে, ইহাতে বাধা দেওয়ার শক্তি সমাজ আমাকে দেন নাই।” দুর্গাচরণ সার্যাল মহাশয় তাহার ‘সামাজিক ইতিহাসে’ লিখিয়াছেন, পুরাকালে আৰ্য্যসমাজে ষে কোন পুরুষ যে কোন স্ত্রীকে ইচ্ছা করিত, তাহাকে সেই পুরুষের অনুগামিনী হইতে হইত। নতুবা সেই স্ত্রীর সমাজে নিন্দ হইত এবং লোকে তাহাকে “কৰ্কশা” বলিয়া ঘৃণা করিত। দশরথ-জাতকে দৃষ্ট হয়, সীতা রামের সহোদরা ছিলেন এবং শেষে তাহার পত্নী হন। STK YDD DBBY SDDBBu BD YK BBBDSSYBDD DDD sK SBB ছিল। দ্রৌপদীর বিবাহের সময় যুধিষ্ঠির দ্রুপদী রাজার নিকটে এক রমণীর বহুপতি হইবার কতকগুলি প্ৰাচীন নজীর উপস্থিত করিয়াছিলেন, যথা : ---“ধৰ্ম্মশীলা জটিল নামী গৌতম বংশীয় এক কন্যা সাতজন ঋষিকে বিবাহ করেন, এবং বাক্ষী নামী মুনিকন্যা প্ৰচেতা: নামক দশভ্রাতার সহধৰ্ম্মিণী হইয়াছিলেন।” ( মহাভারত, আদিপর্ব ১৯৬ অঃ।)। শুধু পাণ্ডবদের জন্মবৃত্তান্তটিই আধুনিক আদর্শ অনুসারে বিসদৃশ নহে, ধৃতরাষ্ট্র ও বিদুরের জন্মকথাটাও খুব সুরুচিসঙ্গত নহে। ইহাছাড়া নারদখষি ও সত্যকমের জন্ম-কথা, ব্যাসখষির উৎপত্তি ইত্যাদি বিচার করলে দৃষ্ট হইবে, ব্যাস, বশিষ্ঠ, নারদ প্ৰভৃতি সৰ্ব্বজনপূজ্য ঋষিরা ব্যভিচারোৎপন্ন হইয়াও সমাজের শীর্ষস্থানে আসীন হইয়াছিলেন। মণিপুরের বৃদ্ধরাজা এই সৰ্ত্তে তাহার কন্যা চিত্রাঙ্গদাকে অৰ্জ্জুনের হস্তে দিয়াছিলেন যে, দৌহিত্র তঁহাদের সিংহাসনের অধিকাৰী, সুতরাং অৰ্জ্জুনের পুত্র হইলে সে মণিপুরেই থাকিবে, তাহার উপর অৰ্জ্জুনের কোন দাবী থাকিবে না । বিরাট আৰ্য্যসমাজে যৌনসম্পর্ক ও আহারান্দি-সম্বন্ধে অসম্ভব রকমের শিথিলতা বিদ্যমান ছিল। যুগে যুগে আৰ্য্যসমাজ নানারূপ পরিবর্তনের ভিতর দিয়া বৰ্তমান আকারে দাড়াইয়াছে। এক সময়ে আৰ্য্যগণ এত বেশী গরু খাইতেন যে, অতিথি আসিলেই একটি গরু মারিতে হইত। এইজন্য অতিথির এক নাম “গোয়।” রাম বনবাস-কালে সুস্বাদু বলিয়া শূকরের মাংস সীতাকে খাইতে দিয়াছিলেন। প্ৰাচীন যুগ হইতে আৰ্য্যগণ কোন একটা বিশেষ আচারের খুঁটি ধরিয়া বসিয়া থাকেন নাই। এখন ষে সকল আচার ও রীতিনীতি লুপ্ত হইয়াছে, তাহা চীনা্যান বা ভূটিয়াদের মধ্যে পাইলে আমাদের আর্য্যবংশীয় পূজ্য ব্যক্তি দিগকে । তাহানের দলের মধ্যে লইয়া ফেলিক্ষ, ইহা কি খুব বৈজ্ঞানিক সিদ্ধান্ত বলিয়া গণ্য হইবে j) yvY