কুরুপ ‘ব, পািববৰ্ত্তী শিশুনাগ ও নন্দবংশ YVOS পুরাকালের কৰ্ম্মবীর নহেন। বুদ্ধদেব যদি ভূটিয়া-কুলে জন্মগ্রহণ করিয়া থাকেন, তাহাতেই কি তঁহার প্রতি জগতের শ্ৰদ্ধা লুপ্ত চুইবে ? Cচণ্ডাল माउांद्र गठिान •ब्राभन्न G श्रक्षेिक द्धि সন্তান সত্যকাম, তাহাতে কি হইয়াছে ? আর যদি বল ইহার কবি-কল্পনা মাত্র, ইহাদের অস্তিত্বই ছিল না, তথাপি আমরা দুঃখিত হইব না । যে মন্ত্রবলে সৃষ্টিকৰ্ত্তা আমাদের মায়িক দেহ দিয়াছেন, তেমনি কোন দৈবশক্তির ইন্দ্ৰজালে ঋষিরা এই সকল কাব্যনাযকের প্ৰাণ প্ৰতিষ্ঠা করিয়াছেন । ভারতবাসীর হৃদয়ের অনেকটা জায়গা জুড়িয়া তাহার। অধিষ্ঠিত আছেন—তাহাদিগকে লোক-শ্রদ্ধা হইতে কে অপসারিত করিবে ? খৃষ্ট অযোনি সম্ভব, কুমারী মেরীর পুত্ৰ, এই সকল কল্পনাও পাশ্চাত্ত্য বৈজ্ঞানিক অবাধে সন্থা করিয়া আসিতেছেন। খৃষ্টের প্রতি তজ্জন্য তঁহাদের শ্রদ্ধার হ্রাস হয় নাই। কিন্তু যুধিষ্ঠির প্রভৃতি রাজগণ হইতে যে বংশলতা পুরাণাদিতে দেওয়া হইয়াছে, তাহা পাবুজিটার সাহেব মূলতঃ গ্ৰাহা করিয়া স্বীকার করিয়া লইয়াছেন। পাশ্চাত্ত্য পণ্ডিতেরা তঁহাকে একঘরে করিবার চেষ্টা পাইয়াছিলেন । কিন্তু যখন দেখা যাইতেছে যে, পুরাণোক্ত রাজবংশাবলীর সঙ্গে শিলালিপি ও প্রাচীন মুদ্রায় প্ৰাপ্ত রাজগণের নামের আশ্চৰ্য্যরূপ মিল রহিয়াছে, তখন স্বযং ভিন্সেণ্ট স্মিথ অনেকটা ঘাড় চুলকাইয়া বলিতেছেন, এই পুরাণের বংশাবলী একেবারে অগ্ৰাহ করা যায় না। “The Pauranic genealogies of kings in prehistoric times seems to be of doubtful २००ष्ठ । value but those of the historical period of Kaliyuga from about 600 BC., are records of high importance and extremely helpful in reconstructing the early political history of India.' (Oxford History of India, 1921, p. 34.) ইহার সারার্থ এই যে কলিযুগের ইতিহাস-পূর্ব অধ্যায়ের, অর্থাৎ খৃ: পূ: ৬০০ বৎসর পূর্বের যে বংশলতা পুরাণাদিতে পাওয়া যায়, তাহা কতকটা সন্দেহজনক-কিন্তু ৬০০ খৃঃ পূঃ হইতে যে বংশলতা দেওয়া হইয়াছে তাহা অত্যন্ত প্ৰয়োজনীয় এবং ভারতের প্রাচীন কালের ইতিহাস গঠনের পক্ষে অপরিহার্য্য। এই ঐতিহাসিক যুগটা তাহারা বুদ্ধদেবের জন্ম ও আলেকজাণ্ডারের অভিযানের সময় হইতে গণনা করেন। তৎপূর্ববৰ্ত্তী সময়ের ইতিহাসের কোন আলোরেখা বিদেশ হইতে পাওয়া যায় নাই, সুতরাং ভারতবর্ষের স্থানীয় ইতিহাস-লেখকগণের উক্তি তাহারা সম্যকরূপে বিশ্বাস করিতে বিধা বোধ করিতেছেন। কিন্তু যাহারা খৃঃ পূঃ ৬০০ বৎসরের কথা লিখিয়াছেন, তাহারাই তৎপূৰ্ববৰ্ত্তী বংশলতা লিপিবদ্ধ করিয়াছেন এবং আলেকজাণ্ডার আসিবার পর হইতে যে ভারতীয় ইতিহাসের প্রত্যয়-যোগ্য যুগ আরম্ভ হইবে-ইহা তাহারা আভাসেও জানিতেন না। আমরা পারজিটারের সহিত একমত হইয়া বলিতে পারি যে, পুরাণোক্ত রাজবংশীলতা মূলতঃ গ্ৰাহ, কিন্তু নানা কারণে কতকটা বিকৃত হইয়াছে। ক্ষত্রিয় রাজাদের প্ৰত্যেকেই উহাদের বংশাবলী ও ইতিহাস রক্ষা করিতেন। ৬ষ্ঠাতারা শুধু ইতিহাস স্বতন্ত্র তাৰে লিখাইয়াই সন্তুষ্ট থাকিতেন না, শিলালিপি, তামলিপি, এবং ধাতৰ পত্রে স্বীয়
