পাতা:বৃহৎ বঙ্গ - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অশোক-নীতি Vd স্থানে রামকথিত রাজনীতি নারদের উপদেশের সঙ্গে প্ৰায় ছত্ৰে ছত্ৰে মিলিয়া যাইতেছে। ইহা ছাড়া রাজনীতি সম্বন্ধে বিস্তুর গ্ৰন্থ সংস্কৃত সাহিত্যে আছে। শুক্রনীতিসার, কামন্দকীয় নীতিসার, গৌতমসংহিতা, বশিষ্ঠসংহিতা, হাৱীতসংহিতা, অত্রিসংহিতা, বিষ্ণুসংহিতা প্রভৃতি বহু গ্রন্থে রাজনীতির আলোচনা দৃষ্ট হয়-মনু ও যাজ্ঞবল্ক্যসংহিতা তাহদের মধ্যে বেশী প্রচারিত। এই সকল সংহিতা গ্ৰন্থ ছাড়া কাশীখণ্ড, দেবীভাগবত, অগ্নিপুরাণ, ॐीबद्धाश्रयड, शैड ७ट्रडि পুস্তকে নীতিশাস্ত্ৰ আলোচিত হইয়াছে। কয়েক বৎসর হইল কৌটিল্যসূত্র আবিষ্কৃত হওয়াতে এই গ্ৰন্থ রাজনীতি-সম্বন্ধে সৰ্বোচ্চ শ্রেণীর পর্য্যায়ে স্থান লাভ করিয়াছে । এইসকল রাজনৈতিক নিবন্ধ প্ৰায় একপ্ৰকার। রাজনীতি সৰ্ব্বদেশেই ধৰ্ম্মনীতির পঙুক্তিতে স্থান পাইবার দাবী করিতে পারে না। (রাজার শাসন"******' প্ৰণালীর মূলেই রহিয়াছে সাম দান, ভেদ, দণ্ড। শত্রুদের ছিদ্রান্বেষণ, স্বীয় প্রবল প্ৰজাদের ক্রমবর্ধিষ্ণু প্ৰতাপ লক্ষ্য করিলে রাজার ভেদ জন্মাইবার চেষ্টা অবলম্বন, গুপ্তচরগণের দ্বারা সংবাদ-সংগ্ৰহ-এসমস্তই রাজনীতির অঙ্গীয় । Gांगांप्न লিখিত আছে, শুধু যুবরাজ, প্রধান মন্ত্রী ও রাজপুরোহিত ব্যতীত অপর সকল রাজকৰ্ম্মচারীর প্রত্যেকের পাছে তিন তিনটি করিয়া গুপ্তচর থাকিৰে । * তাহারা । ན་མ་ག་ལ་ * সৰ্ব্বদা তাহদের গতিবিধি ও কাৰ্যকলাপ লক্ষ্য করিৰে। এই গুপ্তচরেরা প্ৰধান সেনাপতি, অন্তঃপুরোধ্যক্ষ কৰ্ম্মচারী, ৰেতিনাধ্যক্ষ, বেতনপ্রদানকারী, প্ৰধান বিচারপতি, নগরাধ্যক্ষ, রাজ্যসীমা-পালক, দুৰ্গাধ্যক্ষ, ব্যবহারদর্শী প্ৰভৃতি সকলেরই পাছে পাছে থাকিয়া অজ্ঞাতসারে সংবাদ সংগ্ৰহ করিৰে। প্রজাদের গতিবিধি ও কথাবার্তার সংবাদ দেওয়ার জন্যও গুপ্তচরেরা গণিকাদের বাড়ীতে পৰ্য্যন্ত আনাগোনা করিত-ইহাও কোন কোন নীতিসংহিতায় দৃষ্ট হয়। কৌটিল্য এই শাস্ত্রের অন্যতম গুরু, ইনি গুপ্তচরদের যে কাৰ্য্যতালিকা দিয়াছেন তাহাতে মনে হয় রাজ্যের কেহই এই শ্রেণীর লোকের হাত হইতে নিস্কৃতি পাইত না। কৌটিল্যের শাস্ত্ৰে ৰে উচ্চাদের সভ্যতা ও রাষ্ট্রনীতির অন্তদৃষ্টি পাওয়া যায় জগতে ঐ শ্রেণীর সাহিত্যে তাহার তুলনা নাই। তথাপি তিনি যখন লিখিয়াছেন “যিনিই ক্ষমতাপন্ন, যুদ্ধ করা তাহার পক্ষে অপরিহাৰ্য্য।” “যিনি BBDBD DD BDLDB D DBBDB BDBS tDBB BBB BBBDBD DBBD DDDD DDD করা চলে না৷ ” “যে রাজা শান্তিয় নিয়ম পালন করিতে অনিচ্ছুক, তাহার প্রতিপক্ষাকেও সেইরূপ ব্যবহার করিতে হইবে। কারণ উভয়পক্ষ যদি ভুল্যরূপ ক্ষমতাশালী হন, তবেই প্রকৃত শান্তি হইতে পারে। ঐ দুইটি লৌহদণ্ড ভুল্যরূপ উত্তপ্ত না হইলে তাহদের প্রকৃত মিলন ঘটতে পারে না।” ইহাই রাজনীতি। রাজ্যরক্ষা করিতে হইলে ব্যাবহারিক জীবনে এই নীতি পালনীয়। কিন্তু তাহা সত্বেও এই সকল চাণক্যনীতি পাঠ করিয়া অশোকের অনুশাসন