পাতা:বৃহৎ বঙ্গ - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RO P ' বৃহৎ বঙ্গ নাস্তিকের ধৰ্ম্মরূপে পরিচিত হইতে লাগিল। :) বিদ্বন্মোদ-তরঙ্গিণীতে ভারতীয় ভিন্ন ভিন্ন মত যথাযথ রূপেই প্ৰতিপন্ন করা হইয়াছে, “বঙ্গভাষা ও সাহিত্য” পুস্তকে ( ষষ্ঠ সংস্করণ, পৃঃ ১০২ )। আমরা তাহ দেখাইয়াছি। শেষদিকে বৌদ্ধধৰ্ম্মে ভাবজগতে যে উষর মরুভূমির স্বষ্টি করিয়াছিল, পুরাণকারেরা তাহাতে রসের অমৃত ঢালিয়া দিয়াছিলেন। ভারতবর্ষকে সেই যুগে কেহ জোর করিয়া এক ধৰ্ম্ম হইতে অন্য ধৰ্ম্মে প্ৰবৰ্ত্তিত করে নাই; স্বীয় আকর্ষণী বলে ভিন্ন ভিন্ন সম্প্রদায় জনসাধারণের উপর প্রভাব বিস্তার করিয়াছে। বৌদ্ধধৰ্ম্ম নিবৃত্তি-মূলক। আত্যন্তিক দুঃখ-নিবারণ ইহার মূল উদ্দেশ্য । এই উদ্দেশ্য লইয়াই কপিলবস্তুর রাজকুমার রাজপ্রাসাদ ত্যাগ করিয়া অরণ্যচারী হইয়াছিলেন। লালসার মূল যতদিন পাকিবে, ততদিন মানুষের দুঃখ অপরিহার্য্য। কাম-ক্রোধাদি রিপুর শিকড় পৰ্য্যন্ত তুলিয়া ফেলিয়া মানুষকে অনড়, অটল ও নিষ্কম্প একটি পাষাণ-প্রতিমার মত করিয়া গড়িতে হইবে। যাহা কিছু জীবনের উপভোগ্য তাহ সমস্ত কাড়িয়া লওয়া হইল। বৌদ্ধধৰ্ম্ম কঠোর চিকিৎসকের মত ভবরোগীর ঘরে হানা দিয়া তাহাকে সৰ্ব্ববিষযে নিবৃত্ত করিয়াছিল, কিন্তু এই ধৰ্ম্ম দিয়া গেল কি ? নির্বাণীরূপ মহাশূন্য, যাহাতে মানুষের যথাসৰ্ব্বস্ব লপ্ত হইয়া একটা শূন্য মাত্র অবশিষ্ট থাকে। একটি মাত্র নৈতিক দান এই ধৰ্ম্মের অঙ্গীয় ছিল, তাহা দয়া, দুঃখীর প্রতি সহানুভূতি । একটি অশ্রুব মত, একটি অপার্থিব কুণ্ডলের মত এই দয়াবৃত্তি সদ্ধান্মের শ্ৰী উজ্জ্বল করিয়া রাখিয়াছিল, কিন্তু নিৰ্ব্বাণ-প্ৰাপ্তির পর সে দয়াও বিলুপ্ত হইয়া যায়। সুতরাং লৌকিক বিশ্বাসে বৌদ্ধধৰ্ম্ম যে নাস্তিক-বাদের অপর নাম হইয়া দাড়াইবে, তাহাতে আর আশ্চৰ্য্য কি ? উন্নত নৈতিক জীবন, আতাস্তিক দুঃখনিবৃত্তিই কি মানুষের সম্যক পরিতৃপ্তি দিতে পারে? প্রকৃতিতে চারিদিকেও ‘নেতি-নেতি’রব। এত সুন্দব হইয়া গাছের ডগায় ফুলটি ফুটিল, কিন্তু দু’দিনের দেখা-শোনার পরই সম্বন্ধ চুকিয়া গেল, প্রকৃতি ‘নেতি-নেতি’ বলিয়া তাহা ৰিনষ্ট করিয়া ফেলিলেন ; আকাশে উজ্জ্বল তারাটি ফুটিল, রাত্রি অবসানে প্ৰকৃতি আকাশ হইতে তাহা মুছিয়া ফেলিলেন, আপোগণ্ড শিশুর মুখের স্বর্গের হাসি চিতায় ডালি দিলেন। প্রকৃতি কত বীৰ্য্য, কত প্ৰতিভা, কত ক্ষমতা, কত হেলেন, কত নারদ, কত অফিয়াস, কত তিলোত্তমা, কত অৰ্জ্জুন ও আলেকজাণ্ডার মানৰ জগতে অপূর্ব রং দিয়া আঁকিয়া ‘নেতি-নেতি’ ৭লিয়া তিষ্ঠিপে দিলেন না। মহাশূন্যের ক্ৰোড়ে এই ‘নেতি-নেতি’ রব চিরকাল ধ্বনিত ৭ীষ্ম সম্মের মূল নীতি কি এই শূন্যবাদ-যাহ আছে তাহা অনিত্য-সুতরাং او به " : : १५’*ट्रै . ‘‘ ?

      • পদ্ধতির ম৮ে; যে আর একটি সামগ্ৰী আছে তাহাও তো উপেক্ষণীয় নহে। আনন্দ বিশ্বকে শরণা করিখা আছে, এই আনন্দ নশ্বরকে অবিনশ্বর कब्रिांप्रु, भूछक चबिश्वांचा স্বাকপাত দ্বারা নিরর্থক করতেছে। নিত্য রাত্রে চোখ বুজিলেই জগৎ লয় হইয়া যায়অন্ধকারের গর্ভে-মহা শূন্যে। কিন্তু আবার প্রত্যুষে জাপিলেই দেখি, কিছুই তো খায় नहैि। BBBBS DBD ii D i EDEDSLL D DD DDLDB BBDB DH