পাতা:বৃহৎ বঙ্গ - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RbY8 বৃহৎ বঙ্গ আমরা এই শিলালিপির। প্ৰতিলিপিখানি নিম্নলিখিত কারণে প্ৰামাণ্য মনে করি। እ } ̈ እxoዓ 8 খৃষ্টাব্দে মহেঞ্জের বৃদ্ধাবস্থা-তখন তিনি রাজর্ষি। S S ዓ 8 शूछेय (भक्षांद्रांख DD BB DDD DBDBSS DBDDBDB BDBLD DDBD BBD DBDB uBB DBB BD পাইতেছি-ৰীমন্ত, রণবীর, হরিশ্চন্দ্র ও মহেন্দ্র। এক শতাব্দীতে ৪ জন রাজার গণনা প্ৰচলিত নিয়মানুসারে সঙ্গত । ২। সাভারের লিপি ও জয় সেন বিশ্বাসের কুলুঙ্গী দুই বিভিন্ন এবং পরস্পরের অজ্ঞাত স্থান হইতে পাওয়া গিয়াছে এবং উভয় স্থানেই ভীম সেন “মহারাজ” বলিয়া উল্লিখিত। কুলুজী হইতে আমরা জানিতে পারিলাম, ইনি বল্লাল পৌত্র মহারাজ বিশ্বরূপ সেনের পুত্র। ৩। জয় সেন বিশ্বাস কাৰ্ত্তিক সেনকে স্বীয় কন্যা দান করিয়াছিলেন, সুতরাং তদুল্লিখিত বংশলতা নিতুল বলা যাইতে পারে।-বিশেষতঃ পূৰ্ব্বোক্ত নানা প্রমাণ দ্বারা তাহা সমৰ্পিত হইতেছে। তবে প্ৰক্ষেপকারী কেহ কিছু করিয়াছেন কি না-বলিতে পারি না । আব্দত লিপি হইতে অমৃতানন্দ কবিরাজ মহাশয় স্বহস্তে প্ৰতিলিপি গ্ৰহণ করিয়াছিলেন। অমৃতানন্দ কবিরাজ সে সময় পূর্ববঙ্গের সব্বাপেক্ষা বড় কবিরাজ ছিলেন, রাজা ও রাজকল্প ব্যক্তিগণ-যাহারা তাহার দ্বারা চিকিৎসিত হইতেন--তাছাদের নৌকা অনেক সময় কবিরাজ মহাশয়ের ঘাটে বাধা থাকিত । ইনি সংস্কৃতে অসাধারণ পাণ্ডিত্য লাভ করিয়াছিলেন এবং ইহার সততা ও বিবিধ সদগুণ জনসমাজে বিশেষ পরিচিত ছিল। অমৃতানন্দের পুত্ৰ যাদবানন্দ আমি অপেক্ষা বয়োজ্যেষ্ঠ ছিলেন এবং তিনি পুরাতন “ভারতী” পত্রিকার এক জন নিয়মিত লেখক ছিলেন। আশ্চর্য্যের বিষয় পিতাপুত্র উভয়েই পণ্ডিত হওয়া সত্বেও এবং যাদবানন্দ প্রত্নতত্ত্ব-সম্বন্ধে প্ৰবন্ধ রচনায় পটু হইয়াও র্তাহারা এই দলিলটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব কিছুমাত্ৰ উপলব্ধি করিতে পারেন নাই। প্ৰতিলিপি সম্বন্ধে ইহারা কাহারও দৃষ্টি আকর্ষণ করেন নাই। উহা হারাইয়া গিয়াছিল। র্যার্কিন সাহেব চেষ্টা না করিলে উহা পাওয়া বাইত না। মূল শ্লোকের কবিত্ব উচ্চাদরের নহে, এবং কবিরাজ মহাশয় চতুর্দশ শতাব্দীর লিপির ভাল করিয়া মাঠ উদ্ধার করিতে পারেন নাই। তিনি যদি ইচ্ছা করিতেন তবে শ্লোকগুলি অনায়াসে নব শ্ৰীমণ্ডিত করিতে পারিতেন, কিন্তু তিনি যাহা দেখিয়াছিলেন এবং বুঝিয়াছিলেন, সেই ভাবেই নকল করিয়াছিলেন, এজন্য ইহাদের অনেক ত্রুটি দৃষ্ট হয়। ভট্টশালী মহাশয় সময়-সূচক পদটির বিকৃত অর্থ করিয়া উহা অষ্টম কি নবম শতাব্দীর বলিয়া লিখিয়াছেন । আমরা প্রমাণ করিয়াছি-লিপিটি চতুর্দশ শতাব্দীর শেষভাগের। প্ৰায় এই সময়ে রচিত আনন্দভট্টের বল্লালচরিতেও কালবাচক সংস্কৃত পদ “যামাগতি” নিয়ম লঙ্ঘন করিয়াছে এবং আরও বহুস্থলে যে সেই নিয়মের ব্যত্যয় হইয়াছে, তাহার কতকগুলি প্রমাণ আমরা দিয়াছি। বিশেষ “ৰামাগতি” দ্বারা ঐ প্লেকের ব্যাখ্যা করিতে গেলে উহার কোন অর্থই হয় না। আর একটি কথা এই ৰে৷ এই লিপি যদি অষ্টম কি নবম শতাব্দীর । ,