পাতা:বৃহৎ বঙ্গ - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

之脚● বৃহৎ বঙ্গ কিন্তু নিমস্তরের শিল্পী সম্পূর্ণরূপে গণতান্ত্রিক ছিল, ব্যাসের শাপে তাহার পেটে ভাত ছিল না ( বিশ্বকৰ্ম্মার প্রতি অভিশাপ-“তোর গুণধার, যত কারিগর, হুইবে দুঃখী বেগার।” ASDDD SS SDDDS DBBDS BDB BDBD BB BBD D DiiBDB gLg S DBDBB SS DD কলা-লক্ষ্মীর নৈবেদ্যা ক্ষুদ দিয়া সাজাইয়াছিল, কিন্তু তাহা বিদুরের ক্ষুদ, এবং নিশ্চয়ই দেবীর তৃপ্তি সাধন করিয়াছিল। প্রাচীন বাঙ্গলার ( মুসলমান-যুগের ) ছুতার, পটুয়া, মঙ্করী, সীবনরতা কাহ্-কারিণী প্ৰভৃতির কাজে বাঙ্গলার নিজস্ব রূপটি বজায় আছে। সেখানে বাঙ্গালী শিল্পী বরোবন্দর, কাম্বোডিয়া, খেজুরাহ, অজন্তা, অমরাবতী, ভুবনেশ্বর প্রভৃতি দেশের প্রাচীন শিল্পীদের সহোদর, তাহদের পরম্পরের সংস্কার-সুত্র ছিন্ন হয় নাই। এই শিল্পীদের কতকগুলি বৈশিষ্ট্য নির্দেশ করা যাইতে পারে। সেখানে রমণীদের দেহের উত্তরান্ধি অনা ছাদিত-পূত মাতৃস্তন অনাবৃত। পুরুষের দেহেও পোষাক অতি অল্প, যখন কোন বিদেশীকে আঁকিতে হইবে, তখন চিত্রকর তঁাহাকে পোষাক-পরিচ্ছদে আড়ম্বর-পূর্ণ করিয়া প্ৰদৰ্শন করেন। অজন্তার প্রসিদ্ধ চিত্ৰ ‘পুলকেশীর দরবারে বিদেশী রাজদূত’এর প্রতি দৃষ্টি করুন, পুলকেশী ও বিদেশী রাজদূতের পরিচ্ছদের বৈষম্য সহজেই ধরা পড়ে। ময়ূরভঞ্জের একটি প্রস্তর-ফলকে বহু রমণী নানা ভঙ্গীতে উৎকীর্ণ হইয়াছে ; প্রত্যেকের দেহের উত্তরার্থ অনাবৃত। ২০০ বৎসর পূর্বে নিৰ্ম্মিত ফরিদপুরের একখানি কাঠে-গড়া মাতৃমূৰ্ত্তির ছবি দেওয়া হইয়াছে, ফটােগ্রাফে ছবিখানি একেবারেই ভাল উৎরায় নাই, অ’দত মূৰ্ত্তি অতি সুন্দর,-জননীর একটি স্তন শিশু আঁকড়াইয়া ধরিয়াছে, অন্যটি অপর হস্তে খুঁটিতেছে। এখনও বাঙ্গলার কুমারের কোন কোন স্থানে এইরূপ মাতৃমূৰ্ত্তি নিৰ্ম্মাণ করে, কিন্তু নব-রুচির আনুগত্য করিয়া বস্ত্রের ঘটাটা একটু বেশী করে ; আমার নিকট বহু রমণীমূৰ্ত্তি আছে, তাহদের বক্ষ অনাবৃত, কিন্তু তাহাতে আদৌ শীলতার অভাবের কোনও ইঙ্গিত নাই। DDBD BgS BB BDD DDD D BB DDLDDSSSS SLEBB DBDD BuBYD C ভাস্কর শ্রেষ্ঠতম সাফল্য দেখাইতেন। ২৫০ বৎসর পূর্বের একখানি কাষ্ঠ-সিংহাসনের কতকগুলি মূৰ্ত্তি আমার নিকট আছে, তাহ প্ৰায় ধ্বংসের মুখে, তাহাতে গাভীগুলির গতির দ্রুততা যে ভাবে দেখান হইয়াছে তাহ অতি আশ্চৰ্য্য। শ্ৰীযুক্ত পার্সি ব্ৰাউন এবং ফ্রেঞ্চ সাহেল এই কাষ্ঠ ফলকের বহু প্ৰশংসা করিয়াছেন। ফ্রেঞ্চ সাহেব এই ফলকখানি লইয়া প্ৰায় একমাস রাখিয়াছিলেন, কিন্তু এখানকার কো: ফটোগ্রাফার সেই নষ্ট-প্ৰায় কাষ্ঠী ফলকের যথাযথ প্রতিলিপি তুলিতে পারেন নাই, এজষ্ঠ শেষে উহা ফিরাইয়া দিয়া গিয়াছেন। অশ্বারোহীর একখানি চিত্র দেওয়া হইয়াছে, তাহা ৭০০ বৎসর পূর্বে পোড়া ইটের উপর উৎকীর্ণ মুপ্তি হইতে গৃহীত। অশ্বারোহীর চিত্রটি অনেকাংশে ভাঙ্গিয়া গিয়াছে, কিন্তু কি অদ্ভুত গতিশীলতা অশ্বের প্রতি অঙ্গে খেলিতেছে । হরিণের কি শঙ্কটাপন্ন অবস্থা-একদিকে ঘোড়ায় বাজ-কামড়, অপর দিকে তাহার দুই পায়ের মধ্যে পড়িয়া হরিণের উৎকট রূপ। কুকুরটির দেহের প্রায় সবটুকু ভাঙ্গিয়া গিয়াছে, তথাপি শুধু অবশিষ্ট কয়েকটি রেখাৱ