পাতা:বৃহৎ বঙ্গ - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

༦༽ বৃহৎ বঙ্গ পূর্ববঙ্গই বঙ্গভাষার গৌরবের আদি-লীলাভূমি ; মহাপ্ৰভু নিজে পূর্ববঙ্গবাসী হইয়াও পশ্চিমবঙ্গে যে ভগবদভক্তির তরঙ্গ তুলিয়াছিলেন, তাহাতে শেষে সমস্ত বঙ্গ, বিশেষ করিয়া পশ্চিমবঙ্গ, ভাসিয়া গিয়াছিল, তদবধি বঙ্গভাষা-চৰ্চার কেন্দ্র পশ্চিমাভিমুখী হইয়াছে। আমার মনে হয়, বৌদ্ধাধিকারের শেষের দিকে রাজ-স্বারে বঙ্গভাষা সন্মানিত হইয়া উঠিয়াছিল। সেনরাজদের সময়ে ব্ৰাহ্মণ্য-প্রভাবে জনসাধারণকে সম্পূর্ণরূপে অপাঙক্তেয় করিয়া বঙ্গভাষা দ্বারা শিক্ষা-বিস্তারের পথ নিরোধ করা হইয়াছিল! কিন্তু সেন-রাজদের অধিকার-বহির্ভূত পূৰ্বোক্ত দেশগুলিতে বঙ্গভাষী রাজদ্বারেও আদৃত ছিল—এই ভাষা ঐ সকল দেশের কোন কোন স্থানে গৌরীব-জনক “সুভাষা” নামে পরিচিত ছিল ( ১০১৬ পৃঃ ) । আমরা গ্ৰন্থভাগে ডোম-সৈন্যের উল্লেখ করিয়াছি । ত্রিপুর্বাধিপ ধন্যমাণিক্যের সময়ে ( সপ্তদশ শতাব্দীর প্রারম্ভে ) তাহার সেনাদলের মধ্যে হাড়ি-সৈন্য অতি দুৰ্দ্ধর্ষ ছিল । sy w CVT PAJ খাসিয়াদের সঙ্গে যুদ্ধকালে হাড়ি-সেনাপতিদের ভয়ে খাসিয়া (VTR (. ITT VIR রাজ রণক্ষেত্রে না। যাইয়া ত্রিপুরেশ্বরের আনুগত্য স্বীকার করিয়া সন্ধি করিয়া ফেলিলেন। “দ্বাদশ হাজার হাড়ি হাতে কোদাল লৈয়া। হাড়িয়া ডগর বাস্থ্য চলে বাজাইয়া।--উত্তরের হাড়ি চলে আগে লৈয়া বানা। বঙ্গদেশী হাড়ি সব মধ্যে থাকে থানা। দক্ষিণ দিগের হাড়ি চট্টগ্রাম আদি। তার সেনা মাঝে চলে মহাশব্দ ব্যাদি। ডেমস ডগর বাজে নাচে উদ্ধ হাতে। শূকর-খেদান লাঠি পাকাইয়া মাথে ।” ডোম-সেনাপতি কালুর যে বিস্ময়কর বীরত্বের বর্ণনা ধৰ্ম্মমঙ্গল কাব্যে পাওয়া যায়, তাহার অনেকখানি কল্পনা-মূলক। কিন্তু রাজমালায় উল্লিখিত হাড়ি-সৈম্ভের কথা নিছক ঐতিহাসিক সত্য। আজ আমরা হাড়ি, ডোম প্রভৃতি জাতিকে অস্পৃশ্য করিয়া রাখিয়া SSLSYSSSSSSiSSSS DBBB DBSBED BB BDBDDB DDBuYiDDDB DDBD ইহারাই এককালে ভিত্তি রক্ষা করিতে যাইয়া অকাতরে প্রাণ দিয়াছে। এই অকৃতজ্ঞ সমাজের প্রতি বিরূপ হইয়া যদি তাহারা এখন প্ৰতিশোধ লয়, তবে আমরা কি বলিতে পারি? ক্ষুদ্রতম কীটও জন্মে জন্মে পদ-দলিত হইয়া শেষে সৰ্পে পরিণত হয়। ক্ষুদ্রের মধ্যেও অনন্ত শক্তির বীজ লুকায়িত আছে, আমরা আপনার লোকদিগকে পর করিয়া দিয়া জাতীয় শক্তির কতটা হানি করিতেছি, তাহা বুঝিবার সময় আসিয়াছে। উত্তরবঙ্গের উপান্ত-ভাগে পার্বত্য পল্লীতে হেবঞ্জের যে মূৰ্হি পাওয়া গিয়াছে এবং যাহার ক্ষুদ্র প্রতিলিপি শ্ৰীযুক্ত পুরাণচাঁদ নাহারের অনুগ্ৰহে আমরা এই পুস্তকে দিতে প৷রয়াছি, তাহা হইতে যুগলের বড় আদর্শ ভারতীয় শিল্পে আমরা দেখিয়াছি বলিয়া মনে হয় হেৰাজের কাঠ ও প্ৰস্তুর-নিৰ্ম্মিত অনেকগুলি মূৰ্ত্তি আমরা ইণ্ডিয়ান মিউজিয়ামে দেখিয়াছি, কিন্তু নাহার মহাশয়ের সংগৃহীত भूष्ट्रेिहेि সর্বোত্তম । বাহিরের আত্যন্তিক আগ্রহ ও প্রচেষ্টার সঙ্গে সঙ্গে পুংচিত্রের মুখে ৰে অনুবাদ আনন্দ ফুটিয়া উঠিয়াছে, তাহাতে কামগন্ধ নাই, তাহা অনাবিল ধ্যান-লোকের আখ্যাত্মিক আনন্দ। বৈষ্ণবদের চিত্রশালায় যে আনন্দ এখনও অনাগত, চিত্রকরকে : CENS