পাতা:বৃহৎ বঙ্গ - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

له প্ৰাচী ভারতের গৌরব め〉 রাজ্যে যে কোন কালে পূৰ্ব্বোক্ত দুই প্রধান ধৰ্ম্মাবলী সম্প্রদায়ের এরূপ আশ্চৰ্য্য লীলা হইয়া গিয়াছে, তাহার চিহ্নমাত্র যাহাতে না থাকে তাহারা উঠিয়া পড়িয়া তাহাই করিয়াছেন, এজন্য আমাদের প্রাচীন ইতিহাস উদ্ধারের পথে এত আঁধার | শুধু হিন্দুরা নহেন, মুসলমানেরাও বৌদ্ধ ধৰ্ম্ম ও শাস্ত্রের বিলোপসাধনে সচেষ্ট ছিলেন। মগধের রাজধানী ওদন্তপুরে তুরস্কাগণ বঙ্গবিজয়ের কিছু পূৰ্ব্বে বহু বৌদ্ধভিক্ষু ও শ্রমণের প্ৰাণ নাশ করিয়াছিলেন এবং তথাকার সুবিস্তৃত পাঠাগার জ্বালাইমা দিয়াছিলেন । বৌদ্ধগণ मiण, bषॆऒयः, उभांव्रांकन ७zङ्ङि। সীমান্ত প্রদেশে পলায়ন করিয়া তাহদের জীবন ও SE প্রিয় ধৰ্ম্মগ্রন্থগুলি কতক পরিমাণে রক্ষা করিয়াছিলেন ; তৎপরে ব্ৰাহ্মণ্য ক্ৰোধে ‘তাঁহার, যৎপরোনাস্তি নিপীড়িত হইয়াছিলেন। হরপ্রসাদ শাস্ত্রী মহাশয় লিখিয়াছেন, “বৌদ্ধ পারিভাষিক শব্দগুলি জনসাধারণের ভাষা হইতে অন্তৰ্হিত হইয়াছে, – যে জনপদে এক কোটীর অধিক বৌদ্ধ এবং ১১,৫০০ ভিক্ষু বাস করিত, সেখানে একখানি বৌদ্ধ গ্ৰন্থ ৩০ বৎসরের চেষ্টায় পাওয়া যায় নাই। বুদ্ধ-বিষ্ণুর অবতারস্বরূপ কচিৎ উল্লিখিত হইয়াছেন বটে, কিন্তু তাহার ধৰ্ম্মাবলম্বীদের নাম ও ধৰ্ম্মমত বিস্মৃতির অতল জলে ডুবিয়া গিয়াছে ; শুধুনৈয়ায়িকের বৌদ্ধমত-খণ্ডনোদ্দেশ্যে “তঁহাদের গ্রন্থাদির কিছু কিছু উল্লেখ করিয়াছেনকিন্তু সে সকল অ্যায়ের গ্ৰন্থ এখদি অল্পই পঠিত হয়। যে পূৰ্ব্বভারত বৌদ্ধধৰ্ম্মের প্রধান লীলাক্ষেত্র ছিল, তথায় বৌদ্ধধৰ্ম্মেল যে অস্তিত্ব ছিল, তাহাও যুরোপীয় প্রত্নতাত্বিকtits (5t, eigs stfits efits 3&tick" (Discovery of Living Buddhism in Bengal, , ; ) বৌদ্ধ-বিজয়ের পর বাঙ্গলা যখন নব ব্ৰাহ্মণ্যে দীক্ষিত হইল, তখন ভুলিয়া গেল যে এককালে এই দেশের সীমান্তে নালন্দা ও বিক্রমশীলা বিহার ছিল, দীপঙ্করের প্রতিভা দেশবিদেশ উজ্জ্বল করিয়াছিল, এদেশ হইতে বাঙ্গালী বীরেরা যাঈয়া সিংহল বিজয় করিয়াছিলেন এবং এদেশের ধীমান ও বিতপাল অদ্ধ এসিয়ার চিত্রগুরু হইয়া শিল্পজগতে এক অভূতপূর্ব যুগান্তর উপস্থিত করিয়াছিলেন১ তৃতীয় পরিচ্ছেদ প্ৰাচ্য ভারতের গৌরব “প্ৰথম প্ৰচারিত তব বন-ভবনে জ্ঞান ধৰ্ম্ম কত কাব্য কাহিনী।” -রবীন্দ্রনাথ। “বসিত রাজেন্দ্ৰ যথা স্বর্ণ-সিংহাসনে, ফুকারে শৃগাল তথা বিকট নিঃস্বনে।