পাতা:বৃহৎ বঙ্গ - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচা ভারতের গৌরব YC) নামে এদেশে প্রতিষ্ঠা লাভ করিয়াছিলেন । ধৰ্ম্মমঙ্গল কাব্যসমূহে রাজ-দরবারের বর্ণনায় প্রায়ই “বারভূঞা বসি আছে বুকে দিয়া ঢাল” এইভাবে রাজার পরাক্রান্ত পার্শ্বচরদের উল্লেখ দৃষ্ট হয়। রামপাল একাদশ শতাব্দীতে কৈবৰ্ত্ত-বিদ্রোহ দমন করিবার জন্য যে সামন্তচক্র গঠন করিয়াছিলেন, তাহদের মধ্যে এই “দ্বাদশ মাগুলিক” অবশ্যই সেই বীরদিগের অগ্ৰণী ছিলেন। পাঠানশক্তির বিলোপকালে পঞ্চদশ শতাব্দীর শেষভাগে এই বারভুঞার প্রতাপ অত্যন্ত বৃদ্ধি পাইয়াছিল। বারটি ভূঞা রাজা বাঙ্গলায় বারটি শার্দলের মত দুৰ্দান্ত হইয়া উঠিয়াছিলেন। ভুলুয়ার ভূঞা রাজা দুৰ্লভনারায়ণ সুর নিখিল পূৰ্ব-দেশাধিপতি ত্রিপুরেশ উদীয়মাণিক্যাকে রাজস্ব দিতে অস্বীকৃত হইয়া বলিয়া পঠাইয়াছিলেন, “ত্রিপুরারাজ্য আমার, পূৰ্ববৰ্ত্তী রাজা বিজয়ামাণিক্য আমার প্রজা ছিলেন” (রাজমালা-অমরমাণিক্য খণ্ড )। আমরমাণিক্য ইহার বিরুদ্ধে স্বয়ং এক বিপুল বাহিনীর সহিত যাত্ৰা করিয়া জয়লাভ করিয়াছিলেন। আমরা দেখিতে পাই, এই যুদ্ধজয়ের ফলে পরবর্তী ভুলুয়ার ভূঞা রাজা বলরাম সুর ত্রিপুরেশকে অমর দীঘি খনন কালে ১,০০০ কুলি পঠাইয়া সাহায্য করিয়াছিলেন । এই সুবিখ্যাত t TDBS DBB DBDiBBK sGLB DBDBD DDBBBDSDttEESD DSSSSSS BBB BDDDD প্ৰায় সমস্ত ভূঞা রাজারাই এতদুপলক্ষে ত্রিপুরেশ্বরের আনুগত্য করিয়াছিলেন। জঙ্গলবাড়ীর ঈশা খাঁ ও বিক্রমপুরের ক্সের রায়ের নামও আমরা এই সামন্তরাজগণের তালিকাভুক্ত দেখিতে পাই। শুধু শ্ৰীহট্টের फंड সিং কোন সাহায্য করেন নাই । কুমার রাজ্যধর ও ঈশা খাঁ ত্রিপুরার এক বিপুল বাহিনীর নেতা হইয়া শ্ৰীহট্টে গমনপূর্বক তথাকার নবাব ফতে সিংএর গৰ্ব্ব খৰ্ব্ব করিয়া তাহাকে বন্দী করিয়া লইয়া আসেন। রাজমালায় দৃষ্ট হয় ত্রিপুররাজ বিজয়মাণিক্য ষোড়শ শতাব্দীতে দিগ্বিজয়ে অভিযান করিয়া সমস্ত পূর্ববঙ্গে স্বীয় রাজচক্ৰবৰ্ত্তিত্ব প্রতিষ্ঠিত করিয়াছিলেন। রাজমালায় পুনঃ পুনঃ এই “দ্বাদশ বঙ্গের” উল্লেখ দুষ্ট হয়। মোগলের সামন্তৱাজার স্বাধীনতা রক্ষা করিতে প্ৰস্তুত ছিলেন না ; তাহারা সমস্ত ক্ষমতা স্বীয় মুষ্টির ভিতর রাখিয়া তাহদের অধীন রাজাদিগকে মাত্র একটা ফাঁকা সন্মান দিতেন। কিন্তু বঙ্গের দ্বাদশ শাদল এই অবস্থা দুঃসহ মনে করিয়াছিলেন, তাহারা প্রত্যেকে মোগলদিগের বিরুদ্ধে দাড়াইয়াছিলেন এবং অনেকেই প্ৰাণ দিয়াছিলেন। বিক্রমপুরের কদার রায়, যশোহরের প্রতাপাদিত্য, জঙ্গলবাড়ীর ঈশা খা, ভুলুয়ার মুকুন্দ রায় ও তৎপুত্ৰ ত্ৰাজিৎ—মোগলদের বিদ্রোহী ছিলেন। ইহারা জানিতেন পাঠান ও মোগলে অনেক্স ফাৎ-পাঠানের অবনতি স্বীকার করিলে শক্রকে স্বীয় রাজ্যের অখণ্ড আধিপত্য দিতেনমাগলের ফাক সন্মান দিয়া আসল ক্ষমতা কাড়িয়া লইতেন। মোগল সম্রাটের ফৌজদারদর সম্বন্ধে সিয়ার মুক্তক্ষরিণে লিখিত আছে, “ফৌজদারদের প্রধান কৰ্ত্তব্য ছিল, জমিদারদের ক্তি খর্ব করা, তাহারা যেন যুদ্ধাস্ত্ৰাদি সংগ্ৰহ না করেন, বন্দুক ও বারুদ প্রভৃতি যেন bাহারা বেশী না রাখেন, তাহারা যেন তাহাদের পুরাতন দুর্গগুলি সংস্কার না করেন, কিংবা জন কোন দুর্গ নিৰ্ম্মাণ না করেন। কিন্তু যদি কোন ফৌজদারের মনোযোগের ত্রুটির বিধা পাইবা জমিদার এই ভাবের উপকরণাদি সংগ্ৰহ করিয়া ক্ষমতাপন্ন হইতে চেষ্টা করেন,