পাতা:বৃহৎ বঙ্গ - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨૦ বৃহৎ 적 মহাযান-বৌদ্ধ-সম্প্রদায়ের উপাস্তদেবতা, বুদ্ধের নীচেই তাহার স্থান । বিক্রমপুরের শান্তরক্ষিত ও শীলভদ্র একসময়ে সমস্ত বৌদ্ধ জগতের শিক্ষাকেন্দ্রের গুরু ছিলেন। সুবিখ্যাত জৈন গুরু ২৩শ তীর্থঙ্কর পার্শ্বনাথ দীর্ঘকাল রাঢ়, পুণ্ড ও তাম্রলিপ্ত দেশে তাহার চাতুৰ্যাম Di TBumD DBDBDB t D D BB DDBD DBDBDDBDS DBB S iBiD DBDDD BBB আরও অনেক তীর্থঙ্করের সমাধিস্থান রহিয়াছে। রঙ্গপুর অঞ্চলে এবং ত্রিপুর দেশে বঙ্গাধিপ। রাজা গোবিন্দচন্দ্ৰ মাতৃ-আজ্ঞা শিরোধাৰ্য্য করিয়া দ্বিতীয় রামচন্দ্রের স্থায় স্বাদশ বৎসরের YY BBBD BBDBS DDDBB S SuuBDD DDiDKS BH DBBDBD KtEE SLES DD হইতে বোম্বে প্রেসিডেন্সী পৰ্য্যন্ত সর্বত্র এখনও গীত হইয়া থাকে। বোম্বাই প্রদেশে এখনও গোপীচাঁদের সন্ন্যাস রঙ্গমঞ্চে অভিনীত হয় এবং সেদিনও সুবিখ্যাত রাজ-চিত্রকর রবিবৰ্ম্ম বঙ্গের রাজা গোপীৰ্চাদের যে চিত্র অঙ্কন করিয়াছিলেন, তাহা এখনও ভারতবর্ষের নানা স্থানে ঘরে ঘরে বিরাজ করিতেছে। মগধের সুবিখ্যাত সমাটুগণের কথা ছাড়িয়া দিলাম। গুপ্ত, পাল ও সেন সমাটুগণের প্ৰসঙ্গ উত্থাপন করিবার অবকাশ এখানে নাই । কিন্তু উত্তরকালে সাঙ্গোপাঙ্গ-সহকারে মূৰ্ত্তিমান হরি-নাম-স্বৰূপ যিনি সমস্ত জগৎকে পবিত্র করিতে আসিয়াছিলেন--তিনি এই দেশের ইতিহাসে একা । তিনি প্ৰেম-ভক্তি-’গানের পূর্ণচন্দ্র । এদেশকে গঙ্গা যে উর্বরতা ও শ্যামল শ্ৰী দান করিয়াছেন মহাপ্রভুও বঙ্গের আধ্যাত্মিক রাজ্যে তদ্রুপ সম্পদ ও ঐশ্বৰ্য্য দিয়া গিয়াছেন । আমি সুক্ষ্ম ন্যায়-শাস্ত্রের বঙ্গীয় গুরুদের নাম এখানে করিলাম না । তাহারাও প্ৰত্যেকে এক একটি দিকপাল-সদৃশ । আসামের শঙ্কর, বঙ্গদেশের রূপ, সনাতন, নরোত্তম, শ্ৰীনিবাস, অদ্বৈত, নিত্যানন্দ, শ্যামানন্দ বৈষ্ণব-জগতের গুরুকুলের প্রথম পর্ভুক্তিতে আসীন। এখানে আমরা ভারত-মানচিত্রের পূর্বাংশের যে সীমা প্ৰদান করিলাম, তাহাতে যে সকল মহাত্মা জন্মগ্রহণ করিয়াছেন জগতের আর কোথাও কি এইরূপ একটি ক্ষুদ্র গণ্ডীর কের মধ্যে এত বেণী মহাজনগণের আবির্ভাৰ হইয়াছে ? বসোরা যেরূপ গোলাপের জন্মভূমি, এই সীমা-নির্দিষ্টগণ্ডী তেমনিই ধৰ্ম্মবীর ও সাধকগণের লীলাক্ষেত্ৰ। এই পূৰ্ব্বভারত পবিত্র হইতেও अयिा । याक्रव्याएझो বৌদ্ধ, জৈন, বৈষ্ণব, শাক্ত-হিন্দুধৰ্ম্মের এই কয়েকটি শাখা-প্ৰশাখার প্রধান কেন্দ্ৰভূমি। উত্তরকালে ইসলাম ও খ্ৰীষ্ট ধৰ্ম্ম এই দেশে প্রবেশ করিয়াছে। এই শক্তিশালী দেশকে গ্ৰাস করিবার উপযোগী প্ৰতিভা কোন বিদেশীর নাই। কিন্তু যে কেহ এই দেশে আসিয়াছেন, তিনি যাহা কিছু ভাল আনিয়াছেন, এ দেশ-লক্ষ্মী उांश রাজেশ্বরীর ন্যায় গ্ৰহণ করিয়া তাহাকে বিদায় করিয়া দিয়াছেন। বিদেশীরা ধনরত্ন লুণ্ঠন করিয়াছেন, কিন্তু তাহদের প্রধান নৈতিক ও অধ্যাত্ম-সম্পদ বাঙ্গালীরা গ্ৰাস করিয়াছেন। যে মহাক্ষেত্রে এতগুলি শক্তির সংঘর্ষ হইয়াছে, সে দেশ,-সে সমাজ এ ধো পুকুরের মত আবর্জনা-পূর্ণ হইয়া থাকিতে পারে নাই, স্বাধীন চিন্তা সে দেশের পক্ষে স্বাভাবিক। এ দেশের লোক নানা জাতি ও নানা ধৰ্ম্মের সমন্বয় করিতে শিখিয়াছে। বিভিন্নশক্তির