পাতা:বৃহৎ বঙ্গ - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88 বৃহৎ বঙ্গ কিন্তু এদেশে এই নাম চিরপরিচিত। স্ত্রীলোকেরাও কথায় কথায় উপমা দেওয়ার সময় ঐ পরিচয়ের প্রবাদবাক্য ব্যবহার করে। দাতাকর্ণা’ পুস্তকখানি লইয়া এদেশের বহু কৰি কবিতা লিখিয়াছেন । ৰোধ হয়, এই বিষয় লইয়া বাঙ্গলার প্রাচীন কবিরা যত কবিতা লিখিয়াছেন, অন্য কোন বিষয়ে এত অধিক কবিতা লিখিত হয় নাই। আমাদের BiD DiBBD BLBDBDD S SDD uD DBDBSBuDB DDD tD SDBuDuDuBtS পুস্তক সংগৃহীত হইয়াছে। একশত বৎসর পূর্বে বাঙ্গলায় বালকগণের নিত্যপাঠ্য শিশুবোধক এবং অপরাপর পুস্তকে দাতাকর্ণের উপাখ্যান একটি অপরিহার্ঘ্য বিষয় ছিল। কৰ্ণ ষে বাঙ্গালীর কত প্ৰিয়, তাহার শৌৰ্য্য-বীৰ্য্য ও অপরাপর অসাধারণ গুণের জন্য নহে, শুধু দানশীলতার জন্য, তাহা এই প্রসঙ্গে সকলেই বুঝিতে পরিবেন। তিনি সমস্ত সম্পত্তি বিলাইয়া দিয়া-এমন কি স্বীয় প্ৰণাধিক পুত্রকেও নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করিয়te দানের মহিমা অক্ষুন্ন রাখিতেন। এই কথাটি বাঙ্গালী কবি পুনঃ পুনঃ তাহার পাঠকগণকে গল্পচ্ছলে বুঝাইতে চেষ্টা পাইয়াছেন। দুৰ্য্যোধনকে বাক্যদান করিয়া তিনি সহোদরদিগের বিরুদ্ধে অস্ত্ৰধারণপূর্বক রণক্ষেত্রে প্রাণ দিয়া বাগদানের মহিমা দেখাইয়াছেন। কুরুক্ষেত্রের কর্ণকে তদেশবাসীরা এক ভাবে দেখিয়াছেন, অঙ্গ-বঙ্গের লোকীরা তাহাকে আর এক ভাবে বুঝিয়াছেন। পাল-রাজগণের কাহারও কাহারও তাম্রশাসনে কর্ণের দানশীলতার কথার উপরই জোর দেওয়া হইয়াছে। শৌৰ্য্য, বীৰ্য্য ও ঐশ্বৰ্য্য অপেক্ষাও এদেশের লোকেরা হৃদয়ের ঔদাৰ্য্য, মহানুভবতা ও ত্যাগধৰ্ম্মকে বড় করিয়া দেখিয়াছে। কর্ণের প্রসঙ্গে এদেশের সেই বৈশিষ্ট্যের কথাই মনে পড়া স্বাভাবিক। বাঙ্গলার তাম্রশাসনগুলিতে আমরা পুনঃ পুনঃ কর্ণের এই দানশীলতার উল্লেখ দেখিতে পাই। মহাভারতে কর্ণের এই গুণটির অতি সংক্ষেপে মাত্র উল্লেখ আছে। ভাৰ্গবের প্ৰিয় শিষ্য, অজেয় যোদ্ধা এবং বীরদের অগ্ৰণী কৰ্ণ অঙ্গ-বঙ্গে ‘দাতাকর্ণ।” তাম্রশাসনে ধৰ্ম্মপালের পুত্র দেবপাল কর্ণের মত দাতা বলিয়া বর্ণিত হইয়াছেন। কুমারপালের মন্ত্রী বৈদ্যদেবকে “স্বভাবসিদ্ধ দানশীলতাগুণে “চম্পকেশ কর্ণের’ সঙ্গে তুলনা করা হইয়াছে। কৰ্ণ সম্বন্ধে এই ভাবের উল্লেখ বাঙ্গলার আরও দুই একখানি তাম্রশাসনে আমরা পাইয়াছি। বাঙ্গলার কোন তাম্রশাসনেই কর্ণের বীরত্বের উল্লেখ নাই। সমস্ত আৰ্য্যাবৰ্ত্ত কৰ্ণকে যে ভাবে দেখিয়াছে বাঙ্গলাদেশ সেভাবে দেখে নাই। এদেশ ক্ষমতার পুজক নহে,-হৃদয়ের মহান গুণের পূজক ; এই জন্যই এদেশের কৃষ্ণ শঙ্খচক্ৰগদাধারী নহেন-তাহার একমাত্র অমোঘ অস্ত্র একটা বাশের বঁাশী । প্রাগৈতিহাসিক যুগের বৃহৎ বঙ্গের প্রধান পুরু ; জরাসন্ধ। মহাভারত, হরিবংশ প্রভৃতি পুরাণে এই অদ্বিতীয় বীরের কাহিনী বিশেষভাবে লিপিবদ্ধ আছে । একদা নারদ আসিয়া যুধিষ্ঠিরকে বলিলেন, “পাধু স্বৰ্গবাসী, তিনি আমাকে বলিয়াছেন, যুধিষ্টিরকে রাজসূয় যজ্ঞ করিতে বলিবেন। এই যজ্ঞ পূর্ণ করিতে পারিলে আমার স্বৰ্গবাস इांौ हदेव।” भांष-cगाोबर अब्रांग ।