আমি। আচ্ছা, তাহাই হইবে, আমরা এখনই বাহিরে গমন করিব; কিন্তু তোমাকে দুই চারিটী কথা জিজ্ঞাসা না করিয়া যাইতে পারি না। তোমাকে যাহা যাহা আমরা জিজ্ঞাসা করিতেছি, তুমি তাহার উত্তর প্রদান কর, আমরা এখনই তোমার সাহেবের কুঠী হইতে বাহির হইয়া যাইতেছি।
মেহের আলি। সাহেবের অনুমতি না লইলে আমি আপনাদিগের কোন কথার উত্তর দিতে পারিব না।
আমি। ইচ্ছা হয় ত তোমার সাহেবকে সংবাদ প্রদান কর, বা তাঁহাকে জিজ্ঞাসা করিয়া পাঠাও যে, পুলিশের কয়েকজন লোক এখানে আসিয়াছে, তাঁহারা আমাকে কোন কোন কথা জিজ্ঞাসা করিতে চাহেন, আমি তাঁহাদিগের কথার উত্তর প্রদান করিব কি না?
মেহের আলি। সাহেবকে জিজ্ঞাসা করিবার আমার কোন প্রয়োজন নাই। ইচ্ছা হয়, আপনারা গিয়া জিজ্ঞাসা করিয়া আসিতে পারেন।
মেহের আলির কথা শুনিয়া আমার অতিশয় ক্রোধের উদ্রেক হইল, এবং সর্ব্বশরীর যেন কাঁপিতে লাগিল। একবার মনে করিলাম যে, ও যেরূপ ভাবে আমাদিগের সহিত কথা কহিতেছে, তাহাতে উহার সহিত আমাদিগের সেইরূপ ব্যবহার করাই কর্ত্তব্য। কিন্তু পরক্ষণেই মনে হইল, সাহেব, দিগের কুঠীর ভিতর কোন গোলযোগ করিলে আমার কার্য্যের সুবিধা হইবার সম্ভাবনা নাই। কারণ, তিনি ক্রোধান্বিত হইলে তাঁহার চাকরদিগের নিকট হইতে আমাদিগের অধিক কোন কথা পাইবার সম্ভাবনা থাকিবে না