পাতা:বেণীসংহার নাটক.djvu/১৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২৮ বেণীসংহার নাটক । এ পঞ্চ পাওব-মাঝে তুমি যারে সুযোধ বলিয় ভাবে মনের মাঝারে —শস্ত্র ধরি’, বৰ্ম্মাবৃত হয়ে, তারি সনে —যথা অভিরুচি তব—মাতো এবে রণে ॥ এই কথা শুনে কৌরব-রাজ ঈষৎ অশ্রুপাত করে সজল নেত্রে কুমারের প্রতি দৃষ্টি নিক্ষেপ করে এই কথা বল্লেন ঃ– হত কর্ণদুঃশাসন –মোর কাছে তোমরা তো সবাই সমান এবে—এ বেশ জানিও ; —হলেও অপ্রিয় মোর— যুদ্ধ-প্রিয় তুমি, তাই তব সনে যুদ্ধ করা মোর অতি প্রিয় ॥ তার পর, ভীম দুৰ্য্যোধন দুজনেই গাত্ৰোখান করে’, কোপে প্রজ্জ্বলিত হয়ে, পরস্পরের প্রতি পরুষ তিরস্কার-বাক্য প্রয়োগ করতে লাগলেন ; আর বিচিত্র-বিভ্রমে গদা বিঘূর্ণিত করে, মণ্ডলাকারে সমর-ক্ষেত্রে বিচরণ করতে লাগলেন। এই সময়ে, ভগবান চক্রপাণি মহারাজের নিকট আমাকে প্রেরণ করলেন। আর, মহারাজ ! কৃষ্ণ আমাকে এই কথা বল্লেন –“ভীমের প্রতিজ্ঞা পূর্ণ না হওয়ায়, আর কৌরবরাজও নিরুদেশ হওয়ায়, আমরা অত্যন্ত হতাশ হয়ে পড়েছিলেম। সম্প্রতি আবার ভীমসেনের সহিত দুৰ্য্যোধনের সাক্ষাৎ হয়েচে, এইবার তুমি জেনো ভুবন নিষ্কণ্টক হবে। এখন তোমরা সৌভাগ্যোচিত মঙ্গল-অনুষ্ঠানে প্রবৃত্ত হও । আর কোন সন্দেহ নাই । - সলিলে করহ পূর্ণ রতন-কলস-চয় —হবে রাজ্য-অভিষেক তব ।