পাতা:বেণীসংহার নাটক.djvu/১৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

δύο বেণীসংহীর নাটক । করচেন। (আকাশে) কি বল্‌চ ?—“চারিদিকেই মঙ্গল-অনুষ্ঠানের বিপুল আয়োজন হচ্চে দেখতে পাচ্চনা কি ?”—এই কথা বলচ ?—আচ্ছ, বেশ বাছার বেশ । অনাদিষ্ট হয়েও যার প্রভুরহিতকাৰ্য্য করে, তারাই যথার্থ স্বামি-ভক্ত। যুধি –দেখ জয়ন্ধর! কঞ্চ –আজ্ঞে মহারাজ ! - যুধি –তুমি যাও, সুসংবাদ-দাতা পাঞ্চালককে পারিতোষিক দিয়ে পরিতুষ্ট কর। কধু —যে আজ্ঞে মহারাজ ! ( পাঞ্চালকের সহিত প্রস্থান) দ্রে। —মহারাজ ! কেন আবার নাথ সেই হ্রাত্মাকে বল্লেন – “আমাদের পাচ জনের মধ্যে যার সঙ্গে ইচ্ছা হয় যুদ্ধ কর’— এই মাদ্রী-পুত্রদ্বয়ের মধ্যে যদি একজনের সহিত সে যুদ্ধ প্রার্থনা করে, তা হলে যে সমূহ বিপদ উপস্থিত হবে। যুধি –এখন মুহৃদ বন্ধু, বীর অনুজ, কৃপ, কৃতবৰ্ম্ম অশ্বথামা প্রভৃতি রাজন্তবর্গ সমস্তই নিহত। একাদশ অক্ষৌহিণীর মধ্যে যে বান্ধব, হীন, যার কেবল শরীর মাত্র বিভব এখন অবশিষ্ট, যে কখন আত্মাভিমান ত্যাগ করে নি, সেই দুৰ্য্যোধন এখন মনে করচে— “শস্ত্র ত্যাগ করি, কি তপোবনে যাই, কি পিতার মুখ দিয়ে সন্ধির প্রস্তাব করি।” এইরূপ যখন দুৰ্য্যোধনের অবস্থা, তখন সৰ্ব্ব-রিপুন্জয়ের প্রতিজ্ঞাভার হতে যে অনায়াসে মুক্ত হওয়া যাবে তাতে আর আশ্চৰ্য্য কি । তা ছাড়া, সুযোধন আমাদের পাঁচজনের মধ্যে একজনেরও সঙ্গে যুদ্ধে পারবে নু । আর আমার মনে হয়, বৃকোদরের সঙ্গেই সে গদাযুদ্ধে প্রবৃত্ত হবে। অয়ি স্বক্ষত্রিয়ে ! দেখ —