পাতা:বেণীসংহার নাটক.djvu/৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ ११ যাদের ধনু কৃপাণ তোমর শক্তি প্রভৃতি অস্ত্রশস্ত্র হস্ত হতে স্বলিত হয়ে পড়েচে–আর, ও গে৷ পাণ্ডব-পক্ষপাতী যোদ্ধগণ ! তোমাদের ভয় নাই, ভয় নাই। আমি নিহত দুঃশাসনের পীবর-বক্ষঃস্থল-নিঃস্থত শোণিতাসব পান করে’ মদোদ্ধত হয়ে দ্রুতবেগে চলেচি। প্রতিজ্ঞার এখনও কিঞ্চিৎ অবশিষ্ট আছে ; সেই অবশিষ্ট আনন্দ-মহোৎসবের জন্য প্রতীক্ষা করে’, কৌরবরাজের সেই দৃতি নির্জিত দাস ভীমসেন, তোমাদের সবাইকে সাক্ষী করে’ এই কথা বলচে শ্রবণ কর – ধনুর্ধারী মান-ধন দুৰ্য্যোধন নৃপ, আর কৌরব-বান্ধব সেই কৰ্ণ, শল্য, —তাদের সমক্ষে, পাণ্ডব-বধুর কেশ যে করে গো আকর্ষণ ; —সুতীক্ষ্ণ নখের ধারে বিদারিয়া তার সেই বক্ষে, তপত শোণিত, তার থাকিতে থাকিতে প্রাণ, । শোনো সবে আমি আজি, মুখে করিয়াছি পান। সারথি ।—(সভয়ে শ্রবণ করিয়া ) এই যে, কৌরব-রাজপুত্ৰ-মহাবনের উৎপাত-মারুত-স্বরূপ সেই জুরাত্মা নিকটেই উপস্থিত। এখনও তো মহারাজ সংজ্ঞা লাভ করেন নি। আচ্ছ, আমি তবে এই রথ খুব দূরে নিয়ে যাই। কি জানি যদি সেই অনাৰ্য্য এর প্রতিও দুঃশাসনের মত অনাৰ্য্য ব্যবহার করে। ( সত্বর পরিক্রমণ ও অবলোকন করিয়া) এই যে একটি স্তগ্রোধ তরু। সরসী-সরোজ-সুরভি-শীতল সমীরণে এর ঘন নবীন পল্লবগুলি