পাতা:বেণীসংহার নাটক - রামনারায়ণ তর্করত্ন .pdf/১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শুখ্যিায়িক; { 魏 শকুনি কহিল, বংস ভয় নাই, কর্ণের সহিত ডোমার বন্ধুতা আছে। দুৰ্যোধন কহিল, কর্ণের সহিত বন্ধুতীয় কি ফল দর্শিৰে : শকুনি কহিল, তোমরা একশত জাত বটে, কিন্তু পাণ্ডবের অতিপ্রবল, কর্তৃপক্ষ অবর্ধমানে যুধিষ্ঠির রাজভোগের লোভ সম্বরণ করিতে কখন পারিবে না, অবশ্যই বিরোধ উপস্থিত হইবে, তুমি সেই সময়ে কর্ণের সাহায্যে অর্জুনকে পরাস্ত করিয়া হস্তিনার সিংহাসন হস্তগত করিবে ! কিন্তু তহিতে আর এক ব্যাঘাত আছে। দুৰ্য্যোধন কহিল ব্যাঘাত কি ? শকুনি কহিল, ভীম এই বাল্যাবস্থাতে যেরূপ দুর্দান্ত, বোধ হয় পুর্ণ বয়স্ক হইলে ইহার পরাক্রমের আর পরিসীমা থাকিবে না। অতএব তুমি যদি এইসময়ে কৌশলক্রমে জীমকে বিনাশ করিতে পার চেষ্টা কর, জাহা হইলে সিবিরোধ হস্তিনীর সিংহাসন তোমারই হইথে । দুৰ্য্যোধন শকুনির এই বাক্য শুনিয় অবধি নিরবধি ভীমবিনাশের চেষ্টা করিতে লাগিল। কিছুদিন পরে একদা সেই দুষ্টমতি দুৰ্য্যোধন কপটপ্রণয় প্রকাশ করত ভীমকে সঙ্গে লইয়া অতিদূরস্থ এক উদ্যানে গমন করিল। তথায় গিয়া কিঞ্চিৎকাল সুখসেব্যসমীরণ সেবার্থ ইতস্ততঃ ভ্রমণ ও ক্রীড়া কৌতুক করিয়া পরিশেষে খাদ্যবস্তু সহযোগে ভীমকে বিষ ভক্ষণ করাইল । ভীম বিষবেগে মুস্থিত ও অভিভূত হইলে দুরাত্মা দুৰ্য্যোধন ভঁাহাকে জলে নিক্ষেপ করিয়া কৃতকাৰ্য্য জ্ঞানে গৃহে আসিল । পরে ভীমও কোন দৈবঘটনা