পাতা:বেতালপঞ্চবিংশতি.pdf/১১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
১০৯
বেতালপঞ্চবিংশতি
১০৯

হইয়া সেই দেবালয়ে প্রবেশ করিলেন এবং যথোচিত ভক্তিযোগ সহকারে পূজাপ্রণামাদি সমাধান করিয়া নির্গত হইলেন।

এই অবসরে সেই সর্ব্বাঙ্গসুন্দরী রমণী রাজার সম্মুখে আসিয়া দণ্ডায়মান হইল এবং তদীয় সৌন্দর্য্য দর্শনে মোহিত হইয়া কহিল মহারাজ আমার প্রতি যে আজ্ঞা করিবেন তাহাতেই সম্মত হইব। রাজা কহিলেন যদি তুমি আমার বচনানুসারে কার্য্য করিতে চাহ আমার প্রিয়পাত্র চিরঞ্জীবের সহধর্ম্মিণী হও। সে কহিল আমি তোমার রূপ ও গুণের বশীভূত হইয়াছি ইহার স্ত্রী কি প্রকারে হইব। রাজা কহিলেন তুমি এইমাত্র অঙ্গীকার করিয়াছ আমার বচনীনুসারে কর্ম্ম করিবে। সজ্জনেরা প্রাণপর্য্যন্তও পণ করিয়া প্রতিজ্ঞা প্রতিপালন করেন। অতএব আপন বাক্য রক্ষা কর চিরঞ্জীবের সহধর্ম্মিণী হও। পরিশেষে সেই স্ত্রী সম্মত হইলে রাজা গান্ধর্ব্ব বিধান দ্বারা উভয়কে পরস্পর সহচর করিয়া দিয়া আপন সমভিব্যহারে নগরে আনয়ন করিলেন এবং তাহাদের জীবিকানির্বাহার্থে এক নিষ্কর ভূম্যধিকার নির্দ্ধারিত করিয়া দিলেন।

বেতাল জিজ্ঞাসিল মহারাজ রাজা ও চিরঞ্জীবের মধ্যে কোন্‌ ব্যক্তির অধিক উপকারিতা প্রকাশ হইল। রাজা