অনন্তর ভূদেব শশীর নিষেধ না মানিয়া নানাবিধ উপায় দ্বারা তাহার চৈতন্য সম্পাদন করিলেন এবং জিজ্ঞাসিলেন অহে ব্রাহ্মণতনয় কি কারণে তোমার ঈদৃশী দশা ঘটিয়াছে বল। ব্রাহ্মণকুমার কহিলেন যে ব্যক্তি দুঃখ দূর করিতে সমর্থ তাহার অগ্রেই দুঃখের কথা ব্যক্ত করা উচিত। নতুবা অনর্থ ইতস্ততঃ ব্যক্ত করিলে কেবল আপন মূঢ়তামাত্র প্রকাশ পায়। ভূদেব কহিলেন ভাল তুমি আমার অগ্রে ব্যক্ত কর আমি প্রতিজ্ঞা করিতেছি যে রূপে পারি তোমার দুঃখ দূর করিব। মনস্বী কহিলেন কিয়ৎ ক্ষণ পূর্ব্বে এক রাজকন্যা এই উপবনে ভ্রমণ করিতে আসিয়াছিল তাহাকে দেখিয়া আমার এই দশা ঘটিয়াছে। অধিক কি কহিব তাহাকে না পাইলে আমার প্রাণত্যাগ হইবেক।
তখন ভূদেব কহিলেন তুমি আমার সমভিব্যাহারে চল যাহাতে তোমার মনোরথ সিদ্ধ হয় তদ্বিষয়ে অশেষপ্রকার যত্ন করিব। আর যদি তোমার প্রার্থিতসম্পাদনবিষয়ে নিতান্তই কৃতকার্য্য হইতে না পারি অন্ততঃ বহুসংখ্যক অর্থ দিয়া বিদায় করিব। মনস্বী কহিলেন যদি আমার অভিপ্রেত স্ত্রীরত্নলাভের সদুপায় করিতে পার তোমাদের সমভিব্যাহারে যাই নতুবা ধনের নিমিত্তে আমার কিঞ্চিন্মাত্র স্পৃহা নাই। ভূদেব মনস্বীর এইরূপ বাক্য শ্রবণ করিয়া কিঞ্চিৎ হাস্য