পাতা:বেতালপঞ্চবিংশতি.pdf/১৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
১৫৫
বেতালপঞ্চবিংশতি
১৫৫

ত্যাগ করিয়া কোন নিভৃত স্থানে গিয়া প্রশান্ত মনে জগদীশ্বরের আরাধনা করা ভাল। এইরূপ সঙ্কল্প করিয়া পিতা পুত্ত্রে নগর হইতে নির্গত হইলেন এবং মলয় পর্ব্বতে গিয়া তদীয় অধিত্যকাতে কুটীর নির্মাণপূর্ব্বক তপস্যা করিতে লাগিলেন।

তথায় অল্পকালমধ্যে এক ঋষিকুমারের সহিত রাজকুমারের অত্যন্ত বন্ধুত্ব জন্মিল। এক দিবস দুই বন্ধুতে একত্র হইয়া ভ্রমণার্থে নির্গত হইলেন। অনতিদূরে এক কাত্যায়নীর ছিল তথায় শ্রবণমনোহর বীণাশব্দ শ্রবণ করিয়া কৌতুকাবিষ্ট চিত্তে সত্বর উপস্থিত হইয়া দেখিলেন এক পরম সুন্দরী কন্যা বীণানুগত স্তুতিগর্ভ গাত দ্বারা ভগবতী কাত্যায়নীর আরাধনা করিতেছে। উভয়ে একতানমনা হইয়া শ্রবণ ও দর্শন করিতে লাগিলেন। কিয়ৎ ক্ষণ পরে সেই কন্যা জীমূতবাহনকে নয়নগোচর করিয়া মনে মনে তাহাকে পতিত্বে বরণ করিল এবং স্বীয় সহচরী দ্বারা জীমূতবাহনের নাম ধাম জাতি ব্যবসায়াদির পরিচয় লইয়া গৃহে প্রস্থান করিল।

অনন্তর তাহার সহচরী তদীয়নিদেশক্রমে তাহার মাতার অগ্রে পূর্ব্বাপর সমস্ত বৃত্তান্ত কহিল। তিনিও তৎক্ষণাৎ আপন পতি রাজা মলয়কেতুর নিকটে কন্যার অভিপ্রায়