পাতা:বেতালপঞ্চবিংশতি.pdf/১৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
১৭১
বেতালপঞ্চবিংশতি
১৭১

করিতে কহিলেন। সে কহিল মহাশয় এ অন্ন ব্যঞ্জন ভোজন করিতে আমার প্রবৃত্তি হয় না।

তখন যোগী যোগাসনে আসীন হইয়া নয়নদ্বয় মুদ্রিত করিবামাত্র এক যক্ষকন্যা অঞ্জলিবন্ধপূর্ব্বক তাঁহার সম্মুখবর্ত্তিনী হইয়া নিবেদন করিল মহাশয় দাসী উপস্থিত কি আজ্ঞা হয়। যোগী কহিলেন এই ব্রাহ্মণ বুভুক্ষু হইয়া আমার আশ্রমে আসিয়াছেন ইঁহার যথোচিত অতিথিসৎকার কর। যক্ষকন্যা যোগীর আজ্ঞা প্রাপ্তিমাত্র মায়াবলে নিমিষমধ্যে এক রম্য হর্ম্ম্য নির্মাণপূর্ব্বক তাহাতে যথাযথ সুখসাধন বস্তুজাত সুসজ্জিত করিয়া পরিশেষে ব্রাহ্মণকে সমভিব্যাহারে লইয়া গেল এবং নানাবিধ অন্ন ব্যঞ্জন মৎস্য মাংস দধি দুগ্ধ মিষ্টান্ন প্রভৃতি দ্বারা ইচ্ছানুরূপ ভোজন করাইয়া তাহাকে মহার্হ বেশ ভূষা পরিধাপনপূর্ব্বক মণিময় পর্য্যঙ্কে শয়ন করাইল। পরে রজনী উপস্থিত হইলে স্বয়ং পরম রমণীয় বেশ ভূষী সমাধান করিয়া পল্যঙ্কের একদেশে উপবেশনপূর্ব্বক চরণসেবা করিতে লাগিল। ফলতঃ গুণাকরের পরম সুখে রজনীযাপন হইল।

প্রভাতে নিদ্রাভঙ্গ হইলে যক্ষকন্যা ও তৎকৃত যাবতীয় ব্যাপারের চিহ্নমাত্র দেখিতে না পাইয়া গুণাকর অত্যন্ত দুঃখিত মনে সন্ন্যাসীর নিকটে গিয়া নিবেদন করিল মহাশয়ের প্রসাদে কল্য রাজভোগে রজনী যাপন করিয়াছি। কিন্তু