পাতা:বেতালপঞ্চবিংশতি.pdf/১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
উপক্রমণিকা।
১৩

ভূতলে ফেলিয়া তাহার বক্ষঃস্থলে আরোহণ করিয়া বসিলেন। তখন যক্ষ কহিল মহারাজ তুমি আমাকে পরাভব করিয়াছ। তোমার প্রভাব দেখিয়া বুঝিলাম তুমি যথার্থই রাজা বিক্রমাদিত্য। এক্ষণে আমাকে ছাড়িয়া দাও আমি তোমাকে প্রাণদান দিতেছি।

রাজা শুনিয়া হাস্য করিয়া কহিলেন তুই বাতুল নতুবা কি নিমিত্ত এমন অসঙ্গত বাক্য প্রয়োগ করিবি, তুই আমাকে প্রাণদান কি দিবি, আমি মনে করিলে এখনি তোর প্রাণদণ্ড করিতে পারি। যক্ষ শুনিয়া কিঞ্চিৎ হাস্য করিয়া কহিল মহারাজ যাহা কহিতেছ যথার্থ বটে। কিন্তু আমি তোমাকে আসন্ন মৃত্যু হইতে বাঁচাইতেছি। যাহা কহি অবহিত হইয়া শ্রবণ কর। শুনিয়া তদনুসারে কার্য্য করিলে দীর্ঘজীবী হইয়া নিরুদ্বেগে অখণ্ড ভূমণ্ডলে একাধিপত্য করিতে পারিবে। তখন ভূপতি বিস্মিত ও ব্যগ্রচিত্ত হইয়া তাহাকে ছাড়িয়া দিলেন। যক্ষও ক্ষণমধ্যে সমরশ্রান্তি পরিহার করিয়া বিক্রমাদিত্যকে সম্বোধিয়া অভিপ্রেত উপাখ্যানের উপক্রম করিল।

মহারাজ শ্রবণ কর

ভোগবতী নগরে চন্দ্রভানু নামে অতি প্রতাপশালী নরপতি ছিলেন। তিনি এক দিবস মৃগয়াবিলাষে কোন অটবীতে প্রবিষ্ট হইয়া দেখিলেন এক তপস্বী অধঃশিরাঃ বৃক্ষে