পাতা:বেতালপঞ্চবিংশতি.pdf/১৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
১৮৪
বেতালপঞ্চবিংশতি

স্নান করিতে অবতীর্ণ হইল। রাজা দর্শনমাত্র হতজ্ঞান হইলেন। স্নানবিধি সমাপন করিয়া ঋষিতনয়া আশ্রমাভিমুখী হইলে রাজা তাহার সম্মুখবর্ত্তী হইয়া কহিলেন ঋষিকন্যে তোমার এ কেমন ধর্ম্ম। আমি আতপে তাপিত হইয়া বিশ্রামার্থে তোমার আশ্রমে অতিথি হইলাম। তুমি এমনই আতিথেয়ী যে এক বার সম্ভাষণ দ্বারাও আমার সৎকার করিলে না। ঋষিকন্যা শুনিয়া দণ্ডায়মান হইলেন।

এই অবসরে ঋষিও বনান্তর হইতে ফল পুষ্প ও কুশ সমিধ আহরণ করিয়া প্রত্যাবৃত্ত হইলেন। রাজা দর্শনমাত্র আত্মপরিচয় প্রদানপূর্ব্বক সাষ্টাঙ্গ প্রণিপাত করিলে ঋষি অভীষ্টসিদ্ধির্ভবতু বলিয়া আশীর্বাদ করিলেন। রাজা আশীর্বাদ শ্রবণে মনে মনে দুষ্ট অভিসন্ধি করিয়া কৃতাঞ্জলি হইয়া নিবেদন করিলেন মহাশয় আমি শুনিয়াছি কালত্রয়ে ঋষিবাক্য অন্যথা হয় না। আপনি আমাকে আশীর্বাদ করিলেন আমার অভিলাষ পূর্ণ হইবেক কিন্তু আমি তাহার কোন সম্ভাবনা দেখিতেছি না। ঋষি কহিলেন আমি কহিতেছি অবশ্যই তোমার অভিলাষ পূর্ণ হইবেক। তখন রাজা অম্লান মুখে কহিলেন আমি এই কন্যার করগ্রহণের অভিলাষ করিয়াছি।

ঋষি রাজার দুষ্ট অভিপ্রায়ে মনে মনে কুপিত হইয়াও আপন আশীর্বাদ যথার্থ করিবার নিমিত্ত রাজাকে কন্যা সম্প্র-