পাতা:বেতালপঞ্চবিংশতি.pdf/১৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
১৯২
বেতালপঞ্চবিংশতি

সত্ত্ব শীল আচার বিচার নিয়ম ধর্ম্ম সমস্তই নষ্ট হয়। আর যে ব্যক্তি নির্লজ্জ তাহাকে ভর্ৎসনা করা বা উপদেশ দেওয়া বৃথা। তাহার লোকনিন্দার ভয় থাকে না এবং গর্হিত কর্ম্ম করিয়াও ঘৃণাবোধ হয় না। ফলতঃ এবংবিধ ব্যক্তির যত ত্বরায় মৃত্যু হয় ততই মঙ্গল। আর যে ব্যক্তি পরকালের ভয় না করে দেবতা ও গুৰুজনে শ্রদ্ধাবান্‌ না হয় এবং সনাতন বেদাদি শাস্ত্রে আস্থাশূন্য হয় সে অতি পাষণ্ড তাহার সহিত বাক্যালাপ করিলেও অধর্ম্ম আছে। লোকে পুত্ত্রের মঙ্গলপ্রার্থনায় জপ তপ দান ধ্যান ব্রত উপবাসাদি করে কিন্তু আমি কায়মনোবাক্যে তোমাদের মৃত্যু প্রার্থনা করিতেছি।

পিতার এইপ্রকার তিরস্কারবাক্য শ্রবণ করিয়া চারি জনেরই অন্তঃকরণে অত্যন্ত ঘৃণা জন্মিল। তখন তাহারা পরস্পর কহিতে লাগিল বাল্যকালে বিদ্যাভ্যাসে ঔদাস্য করিয়াছিলাম তাহাতেই আমাদের এই দুরবস্থা ঘটিয়াছে এক্ষণে বিদেশে গিয়া বিদ্যাভ্যাস কর। উচিত। এইরূপ সঙ্কল্প করিয়া চারি জনে নানা দেশে ভ্রমণপূর্ব্বক অল্পকালমধ্যে সমস্ত বিদ্যায় পারদর্শী হইল। প্রত্যাগমনসময়ে তাহারা পথিমধ্যে দর্শন করিল এক চর্ম্মকার মৃত ব্যাঘ্রের মাংস ও চর্ম্ম লইয়া প্রস্থান করিল কেবল অস্থি সকল স্থানে স্থানে পতিত রহিল।

তাহাদের এক ব্যক্তি অস্থিসঙ্ঘটনী বিদ্যা শিক্ষা করিয়া