পাতা:বেতালপঞ্চবিংশতি.pdf/২০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।

দ্বাবিংশ উপাখ্যান

বেতাল কহিল মহারাজ

বিশ্বপুর নগরে নারায়ণ নামে ব্রাহ্মণ ছিলেন। তিনি এক দিন মনে মনে বিবেচনা করিতে লাগিলেন এক্ষণে বার্দ্ধক্যবশতঃ আমার শরীর শীর্ণ ও ইন্দ্রিয় সকল জীর্ণ হইয়াছে কিন্তু ভোগাভিলাষ পূর্ব্বাপেক্ষা প্রদীপ্ত হইতেছে। আমি পরকলেবরপ্রবেশনী বিদ্যা জানি। অতএব এই জরাজীর্ণ ভোগাক্ষম শীর্ণ শরীর পরিত্যাগ করিয়া কোন যুবশরীরে প্রবিষ্ট হই তাহা হইলে আর কিছু কাল অনায়াসে অভিলাষানুরূপ সুখ সম্ভোগ করিতে পারিব। কিন্তু সহসা এই দেহ ত্যাগ করিয়া দেহান্তরে প্রবেশ করিলে আমার এই অভিপ্রায়ের প্রকাশসম্ভাবনা। অতএব প্রথমতঃ যোগাভ্যাসচ্ছলে পরিবারের নিকট বিদায় লইয়া বনপ্রবেশ করি পরে তথা হইতে আপন অভিপ্রায় সম্পন্ন করিব। নারায়ণ মনে মনে এইরূপ সঙ্কল্প করিয়া পুত্ত্র পৌত্ত্র দুহিতৃ দৌহিত্র কলত্র আদি সমস্ত পরিবার একত্র করিয়া তাঁহাদের সম্মুখে কহিতে লাগিলেন দেখ আমি এতাবৎ কাল পর্য্যন্ত সংসারাশ্রমে বদ্ধ থাকিরা বিষয়বাসনায় আসক্ত হইয়া কালযাপন করিলাম। এক দিন এক মুহূর্ত্তের