পাতা:বেতালপঞ্চবিংশতি.pdf/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
১৮
বেতালপঞ্চবিংশতি।

যোগসাধন করিতে লাগিলেন এবং কিয়ৎ কাল পরে ঐ নরেশ্বরের মৃত্যুসাধন করিয়া কৃতকার্য্য হইলেন।

এই রূপে আখ্যায়িকা সমাপন করিয়া যক্ষ কহিল মহারাজ ইহার তাৎপর্য্য এই যে তুমি ও রাজা চন্দ্রভানু আর ঐ যোগী তিন জন এক নগরে এক নক্ষত্রে এক লগ্নে জন্মিয়াছিলে। তন্মধ্যে তুমি রাজবংশে জন্ম গ্রহণ করিয়া পৃথিবীর রাজত্ব করিতেছ। চন্দ্রভানু তৈলিকগৃহে জন্ম লইয়া ভোগবতী নগরীর অধিপতি হইয়াছিল। আর যোগী কুন্তকারকুলে উৎপন্ন হইয়া যত্নপূর্ব্বক যোগসাধন করিয়া চন্দ্রভানুর প্রাণবধ করিয়াছে এবং তাহাকে বেতাল করিয়া শ্মসানবর্ত্তী শিরীষবৃক্ষে লম্বিত করিয়া রাখিয়াছে। এক্ষণে অনন্যকর্ম্মা হইয়া কেবল তোমার প্রাণসংহারের চেষ্টা দেখিতেছে। তাহাতে কৃতকার্য্য হইলেই উহার অভীষ্ট সিদ্ধ হয়। যদি তুমি তাহার হস্ত হইতে আত্মরক্ষা করিতে পার বহু কাল অকণ্টকে রাজ্যভোগ করিতে পারিবে। আমি তোমাকে সবিশেষ সকল কহিয়া সতর্ক করিয়া দিলাম তুমি এ বিষয়ে ক্ষণমাত্রও অসাবধান থাকিবে না।

এইরূপ উপদেশ দিয়া যক্ষ স্বস্থানে প্রস্থান করিল। রাজাও শুনিয়া ত্রস্ত ও বিস্ময়গ্রস্ত হইয়া নানাপ্রকার চিন্তা করিতে করিতে রাজবাটীতে প্রবিষ্ট হইলেন। পর দিন