পাতা:বেতালপঞ্চবিংশতি.pdf/২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
২০
বেতালপঞ্চবিংশতি।

ও রাজবয়স্যগণ তদীয়প্রভাদর্শনে চমৎকৃত হইলেন। রাজা যোগীকে জিজ্ঞাসা করিলেন মহাশয় আপনি কি জন্যে আমাকে এই রত্নগর্ভ ফল দিলেন।

যোগী কহিলেন মহারাজ শাস্ত্রে রাজা গুরু জ্যোতির্বিদ ও চিকিৎসকের নিকট রিক্ত হস্তে যাইতে নিষেধ আছে। এই জন্যে আমি এই রত্নগর্ভ ফল লইয়া আসিয়াছিলাম। আর এক রত্নগর্ভ ফলের কথা কি কহিতেছেন প্রতিদিন আপনাকে যে যে ফল দিয়াছি সকলের মধ্যেই এতাদৃশ এক এক রত্ন আছে। তখন রাজা কোষাধ্যক্ষকে ডাকাইয়া কহিলেন তোমাকে যত শ্রীফল রাখিতে দিয়াছি সমূদয় আনয়ন কর। কোষাধ্যক্ষ রাজার আদেশানুসারে সমস্ত ফল আনয়ন করিল। রাজা প্রত্যেক ফল ভাঙ্গিয়া সকলের মধ্যেই এক এক রত্ন দেখিয়া অত্যন্ত আহ্লাদিত হইলেন এবং তৎক্ষণাৎ রাজসভায় আগমনপূর্ব্বক এক মণিকারকে ডাকাইয়া রত্নের পরীক্ষা করিতে আজ্ঞা দিয়া কহিলেন এই অসার সংসারে ধর্ম্মই সার পদার্থ অতএব তুমি ধর্ম্মপ্রমাণ প্রত্যেক রত্নের মূল্য নিরূপণ করিয়া দাও।

এইরূপ রাজবাক্য শ্রবণ করিয়া মণিকার কহিল মহারাজ আপনি যথার্থ আজ্ঞা করিয়াছেন। ধর্ম্ম রক্ষা করিলে সকল রক্ষা হয় ধর্ম্ম লোপ করিলে সকল লোপ হয়। অতএব