পাতা:বেতালপঞ্চবিংশতি.pdf/৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
৩২
বেতালপঞ্চবিংশতি

পাই। বৃদ্ধা তাহাদিগের মনোহর রূপদর্শনে ও মধুর আলাপ শ্রবণে প্রীত হইয়া প্রসন্ন মনে কহিল এ তোমাদের গৃহ যত দিন ইচ্ছা সচ্ছন্দে অবস্থিতি কর।

এই রূপে উভয়ে সেই বর্ষীয়সীর সদনে আবাসগ্রহণ করিলেন। কিয়ৎ ক্ষণ পরে বৃদ্ধা তাঁহাদের সন্নিধানে আগমন করিয়া কথোপকথন আরম্ভ করিলে সর্ব্বাধিকারিপুত্ত্র জিজ্ঞাসা করিলেন মা কয় জন তোমার পরিবার আর কি প্রকারে বা নির্বাহ হয়। বৃদ্ধা কহিল আমার পুত্ত্র রাজসংসারে কর্ম্ম করে রাজার অতি প্রিয় পাত্র। আর পদ্মাবতী নামে রাজার এক কন্যা আছেন আমি তাঁহার ধাত্রী ছিলাম। এক্ষণে বৃদ্ধা হইয়াছি গৃহে থাকি কিন্তু রাজা অনুগ্রহ করিয়া অন্ন বস্ত্র প্রদান করেন। আর রাজকন্যা অত্যন্ত ভাল বাসেন এজন্য প্রতিদিন এক এক বার তাঁহাকে দেখিতে যাই। ইহা শুনিয়া রাজপুত্ত্র কহিলেন কল্য যাইবার সময় আমাকে জিজ্ঞাসা করিয়া যাইবে আমি রাজকন্যার নিকট কোন সংবাদ পাঠাইব। বৃদ্ধা কহিল যদি প্রয়োজন থাকে বল আজিই আমি রাজকন্যাকে জানাইয়া আসি। তখন রাজকুমার হৃষ্ট হইয়া কহিলেন তুমি রাজকন্যাকে কহিবে জ্যৈষ্ঠশুক্লপঞ্চমীতে সরোবরের তীরে যে রাজপুত্ত্রকে দেখিয়াছিলে সে তোমার সঙ্কেতানুসারে উপস্থিত হইয়াছে।