পাতা:বেতালপঞ্চবিংশতি.pdf/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
বেতালপঞ্চবিংশতি
৩৫

নাই। এ অনুকূল গলহস্ত অপ্রশস্ত নহে। তুমি পূর্ণমনোরথ হইয়াছ। অদ্য রজনীযোগে তোমাকে সেই দ্বার দিয়া তাহার অন্তঃপুরে যাইতে সঙ্কেত করিয়াছে। রাজপুত্ত্র আনন্দপ্রবাহে মগ্ন হইয়া দিবাবসানপ্রতীক্ষায় কালক্ষেপ করিতে লাগিলেন।

প্রদোষকাল উপস্থিত হইলে রাজকুমার বিহারযোগ্য বেশ ভুষা সমাধান করিয়া প্রিয় বয়স্যের সহিত অর্দ্ধরাত্র সময়ে নির্দ্ধারিত দ্বারদেশে উপস্থিত হইলেন। সর্ব্বাধিকারীর পুত্ত্র দ্বারের বহির্ভাগে দণ্ডায়মান রহিলেন তিনি তন্মধ্য দিয়া অন্তঃপুরে প্রবেশ করিলেন। দেখিলেন রাজকুমারী তাঁহার প্রতীক্ষা করিতেছেন। নয়নে নয়নে সঙ্গতি হওয়াতে উভয়ে চরিতার্থতা প্রাপ্ত হইলেন। রাজকন্যা পার্শ্ববর্ত্তিনী বয়স্যার প্রতি দ্বাররোধের আদেশ দিয়া রাজকুমারের কর গ্রহণপূর্ব্বক বিলাসভবনে প্রবেশ করিলেন এবং সুশোভিত স্বর্ণময় পল্যঙ্কে উপবেশনানন্তর বল্লভের কণ্ঠদেশে স্বহস্তসঙ্কলিত ললিত মালতীমালা সমর্পণ করিয়া স্বয়ং তালবৃন্ত সঞ্চালন করিতে লাগিলেন।

তখন রাজকুমার কহিলেন প্রিয়ে তোমার বদনসুধাকরসন্দর্শনেই আমার চিত্তচকোর চরিতার্থ হইয়াছে আর এরূপ পরিশ্রম স্বীকারের প্রয়োজন নাই। বিশেষতঃ তোমার