পাতা:বেতালপঞ্চবিংশতি.pdf/৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
৫৯
বেতালপঞ্চবিংশতি
৫৯

নানা উপচার দ্বারা যথাবিধি পূজা করিয়া সাষ্টাঙ্গ প্রণিপাত পূর্ব্বক দেবীর সম্মুখে কৃতাঞ্জলি হইয়া কহিল হে জগদীশ্বরি তোমাকে প্রসন্ন করিবার নিমিত্ত আমি প্রাণাধিকপ্রিয় পুত্ত্রকে স্বহস্তে বলিদান দিতেছি। কৃপা কর যেন আমার প্রভুর দীর্ঘ আয়ুঃ ও অচল রাজ্য হয়।

এই বলিয়া খড়্গ লইয়া বীরবর অকাতরে পুত্ত্রের মস্তকচ্ছেদন করিল। বীরবরের কন্যা এই রূপে জীবিতাধিক সহোদরের প্রাণবিয়োগ দেখিয়া খড়্গপ্রহার দ্বারা প্রাণত্যাগ করিল। তাহার পত্নীও শোকে অধীরা হইয়া তৎক্ষণাৎ তনয় তনয়ার অনুগামিনী হইল। তখন বীরবর বিবেচনা করিল প্রভুকার্য্য সম্পন্ন করিলাম। এক্ষণে আর কি নিমিত্ত দাসত্বশৃঙ্খলে বদ্ধ থাকি আর কি সুখেই বা জীবন ধারণ করি। এই বলিয়া সেই বিষম খড়্গ দ্বারা স্বীয় শিরশ্ছেদন করিল।

এই রূপে ক্রমে ক্রমে চারি জনের অদ্ভুত মরণ দেখিয়া রাজার অন্তঃকরণে অত্যন্ত নির্বেদ উপস্থিত হইল। তখন তিনি কহিতে লাগিলেন যে রাজ্যের নিমিত্ত এতাদৃশ প্রভুভক্ত সেবকের সর্ব্বনাশ হইল আর আমি সেই বিষন রাজ্যের ভোগে প্রবৃত্ত হইব না। আমি অতিশয় স্বার্থপর। নতুবা কি নিমিত্ত বীরবরকে পুত্ত্রহত্যা হইতে নিবৃত্ত করিলাম না। কি নিমিত্তই বা তাহাকে আত্মঘাতী হইতে দিলাম। উপ-