পাতা:বেতালপঞ্চবিংশতি.pdf/৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
৬৪
বেতালপঞ্চবিংশতি
৬৪

পাঠাইলেন। কহিয়া দিলেন তুমি তথা হইতে প্রত্যাগমন না করিলে আমি কোন উদ্যোগ করিতে পারিব না। বাগ্দানের দ্রব্য সামগ্রা লইয়া ব্রাহ্মণেরা অনঙ্গসেনের নিকট উপস্থিত হইয়া সবিশেষ সমস্ত বিজ্ঞাপন করিলে তিনি আহ্লাদসাগরে মগ্ন হইলেন এবং সুবিজ্ঞ দৈবজ্ঞ দ্বারা বিবাহের দিন নির্দিষ্ট করিয়া মগধেশ্বরপ্রেরিত ব্রাহ্মণ দ্বারা তাঁহার নিকট সংবাদ পাঠাইয়া দিলেন। অনন্তর নির্দ্ধারিত দিবসে যথাসময়ে মগধেশ্বরের আলয়ে উপস্থিত হইয়া চন্দ্রাবতীর পাণিগ্রহণপূর্ব্বক নিজ রাজধানী প্রত্যাগমন করিয়া পরম সুখে কালক্ষেপণ করিতে লাগিলেন।

চন্দ্রাবতী শ্বশুরালয়ে আগমনকালে মদনমঞ্জরী শারিকারে নিজ সমভিব্যাহারে আনিয়াছিলেন। তিনি তাহাকে সর্ব্বদা আপন সমক্ষে রাখিতেন। রাজাও ক্ষণ কালের নিমিত্ত চূড়ামণিকে দৃষ্টিপথের বহির্ভূত করিতেন না। এক দিবস রাজা ও রাজমহিষী অন্তঃপুরে একাসনে উপবিষ্ট আছেন এবং পিঞ্জরস্থ শুক শারিকাও তাঁহাদের সম্মুখে আছে এমন সময়ে রাজা রাজ্ঞীকে কহিলেন দেখ একাকী থাকিলে অতি কষ্টে কালযাপন হয়। অতএব আমার অভিলাষ শুকের সহিত তোমার শারিকার বিবাহ দিয়া উভয়কে এক পিঞ্জরে রাখি তাহা হইলে উহারা আনন্দে কালহরণ করিতে পারিবেক।