পাতা:বেতালপঞ্চবিংশতি.pdf/৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
৮৩
বেতালপঞ্চবিংশতি
৮৩

করিয়া রোদন করিতে আরম্ভ করি। গৃহজন রোদনশব্দে জাগরিত হইয়া কারণজিজ্ঞাসার্থ উপস্থিত হইলে কহিব আমার স্বামী ক্রোধে অন্ধ হইয়া বিনা অপরাধে বহু প্রহার করিয়া পরিশেষে নাসিকাচ্ছেদন করিয়া দিলেন। সখী কহিল উত্তম যুক্তি হইয়াছে ইহাতে সকল দিক্‌ রক্ষা পাইবেক। অতএব অবিলম্বে গৃহে গিয়া এইরূপ কর।

জয়শ্রী সত্বর হইয়া গৃহে গিয়া শয়নাগারে প্রবেশপূর্ব্বক উচ্চৈঃ স্বরে রোদন করিতে লাগিল। গৃহজন ক্রন্দনধ্বনিশ্রবণে ব্যাকুল হইয়া জয়শ্রীর শয়নগৃহে প্রবেশ করিয়া দেখিল তাহার নাসিকা নাই সমস্ত গাত্র ও বস্ত্র শোণিতে অভিষিক্ত হইয়াছে এবং সে নিজে ভূতলে পতিত হইয়া রোদন করিতেছে। অনন্তর বারংবার হেতু জিজ্ঞাসা করাতে জয়শ্রী আপন স্বামীর দিকে অঙ্গুলিনির্দেশ কহিল ঐ দুর্বৃত্ত দস্যু আমার এই দুর্দশা করিয়াছে। তখন সমস্ত পরিবার একবাক্য হইয়া শ্রীদত্তকে অশেষপ্রকার তিরস্কার করিতে আরম্ভ করিল।

সুশীল শ্রীদত্ত পূর্ব্বাপর কিছুই জানে না। অকস্মাৎ এতাদৃশ বিরুদ্ধ বাক্য শ্রবণে চমৎকৃত হইয়া মনে মনে বিবেচনা করিতে লাগিল আমি সবিশেষ না জানিয়া শ্বশুরালয়ে আসিয়া অতি গর্হিত কর্ম্ম করিয়াছি। ইহাকে অতি দুশ্চরিত্রা দেখিতেছি। প্রথমতঃ শত শত চাটু বচনেও আলাপ করে