পাতা:বেদবতী বা পতিপ্রাণা.pdf/৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२ বেদবতী । সুশ্ৰুষাই কল্লেম, তা বলে এমন কষ্ট প্রাণের ভিতর কেমন করে সহ্য করি। মাত: অম্বিকে ! তুমিত রমণীগণের প্রাণের কি কষ্ট তা জান । স্বামীই অবলার গতি ; স্বামী বিনা জগতে আমাদের আর কি আছে । ম৷ এই বর দিন, যেন আমার স্বামীর গলিত কুষ্ঠ আরাম হয়। মা আর কিছু চাহি না এই অামার ইহ জীবনের জলন্ত সাধ । বেদশী। পতিপ্রাণ ! আজি আমার প্রাণের মৰ্ম্ম স্থানে যে আঘাত লাগছে। ওঃ আমি যে ক্ষণ মুহূৰ্ত্ত ও স্থির থাকৃতে পাচ্চি না । আমার কাছে এস তোমায় দেখে এ দগ্ধ হৃদয় শীতল করি । বেদত । স্বামিন এইত আমি কাছে রহিছি। অাহার নিদ্রা ত্যাগ করেও অামিত রাত্র দিন আপনার চরণ সেবা কচ্ছি। (ব্যাকুল ভাবে ) কি পীড়া হ’ল নাথ ! কি করব । বেদশী । ও: বড় মৰ্ম্ম পীড়ায় আমায় আকুল করেছে । সৰ্ব্ব শরীরের গ্রন্থিগুলা যেন খসে পড়ছে। শীরা সব ছিন্ন ও অবসন্ন হ’ল এমনি বোধ হচ্চে। ধমনিতে রক্ত বুঝি আর প্রবাহিত হয় না । আর পারি নে—পতিপ্রাণ অামায় বাচা ও—বাচাও— বেদতী। হা ভগবান কি কল্লেন ? এই সাত দিন উদরে জল পর্য্যন্তও যায় নি। কায়মনে স্বামী সেবা কচ্ছি। তবু কি আপনার এই হীন অবলার প্রতি একটু দয়া হ’ল না ? প্রভো ! এ ক্ষুদ্র অবলা হৃদয়ের প্লাবিত অশ্রু কি আপনার চরণ ধৌত কর্তে পাচ্চে না ? বলুন আমি কি অপরাধে অপরাধিনী ! হায়! এরোগের কি ঔষধ নাই ?