পাতা:বেদান্তগ্রন্থ - রামমোহন রায়.pdf/১৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

sy (Affe अखब नारे, बांश्त्रि नारे 6न चल डिनि यनखन, अबांय। बत्र उभूवश्डब স্বরূপ। ইহাই অনুশাসন, অর্থাৎ চরম সিদ্ধান্ত। এই মন্ত্রে ব্ৰহ্ম হইতে অপর বস্তুর উৎপত্তি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ হইয়াছে, তাই সৃষ্টিশ্রুতি পারমার্থিক নহে। পুনরায় আপত্তি-পূজনীয় বেদব্যাস এই লীলাসুত্র রচনা করিলেন কেন ? উত্তর, লৌকিক দৃষ্টিতে জগৎ আছে; তাই বেদব্যাস লৌকিক দৃষ্টি অনুযায়ী লীলাসুত্র রচনা করিয়াছেন। অপ্ৰতিহতশক্তি পুরুষ আপন খুসিমত, বিনা প্ৰয়োজনে যে আচরণ করেন, তাহাই লীলা নামে আখ্যাত হয়। পুনরায় আপত্তি-পারমার্থিক সৃষ্টি হয় নাই, সুতরাং লীলা কল্পনা মাত্র, বেদব্যাস এমন কথা বলিলেন না কেন ? উত্তর-বলিয়াছেন। ২॥১১৪ সূত্রে BBDD BBDD DBBBDD DBD SYBB S DBDDD DBB DDBBDB SS BBDBDD লীলা বিষয়ে কোন কথাই উঠিতে পারে না। লীলারসিক ভক্তগণের মুখে লীলার যে বর্ণনা শুনা যায় তাহাতে লীলার রূপ ও স্বরূপ বুঝিতে না পারিয়া তাহা বুঝিবার জন্যই পূজ্যপাদ প্রধান তিন আচার্যের ব্যাখা টীকাকার উদ্ধৃত করিয়াছে। আচাৰ্যদের ব্যাখ্যা হইতে ইহাই বুঝা যায় যে সর্বজ্ঞ সৰ্বশক্তিমান ব্রহ্মের লীলা সম্ভব নহে। সদাশিবেন্দ্র সরস্বতীর সংক্ষিপ্ত উক্তি এই :-মায়াময্যা লীলয়া ব্ৰহ্মণ: স্রষ্টত্বম অবাদি ; মায়াময়ীর লীলার জন্যই ব্ৰহ্মের স্রষ্টত্ব ইহাই বলা হইয়াছে। অর্থাৎ ব্ৰহ্মকে জগৎস্রষ্টা বলা হয় তার লীলার জন্য, আর সেই লীলা মায়াময়ী অর্থাৎ অনির্বাচনীয়, এজন্যই লীলার প্রকৃতি ও স্বরূপ উপলব্ধি করা যায় না । আচাৰ্য শঙ্করের ব্ৰহ্মসূত্ৰভায্যের উপর বাচস্পতি মিশ্র ভামতী নামে সুপ্ৰসিদ্ধ টীকা রচনা করিয়াছেন ; তিনি বলিয়াছেন, ৩২নং সূত্রে এই আপত্তি করা হইয়াছে যে ব্ৰহ্ম নিত্যতৃপ্ত, সুতরাং তার কোন প্রয়োজন নাই; সুতরাং ব্ৰহ্ম সৃষ্টিকর্তা নহেন। ইহারই উত্তরে ৩৬নং সূত্রে বলা হইয়াছে যে রাজা মহারাজ্যের প্রয়োজন না থাকিলেও কেবল লীলাবশতঃ ক্রীড়া বিহারে প্ৰবৃত্ত হন ; তেমনি ব্ৰহ্ম প্রয়োজন না থাকিলেও লীলাবশতঃ জগৎ সৃষ্টি করেন। ইহার উত্তরে বাচস্পতি বলিয়াছেন যে, সৃষ্টি পারমার্থিক নহে। সৃষ্টির মূলে আছে অবিদ্যা । জলের স্বভাবই নিম্নদিকে গমন ; অবিদ্যাও স্বভাবতঃই কাৰ্যোমুখী ; অর্থাৎ অবিদ্যা কার্ষে পরিণত হইবেই ; এর জন্য কোন প্রয়োজনের অপেক্ষা নাই। অবিদ্যা ব্ৰহ্মেরই আশ্রিত ; ব্ৰহ্মচৈতন্যের সহিত মিশ্ৰিত অবিদ্যাই জগৎ রূপে পরিণত হয় ; এই জন্যই চেতন ব্ৰহ্মকে