পাতা:বেদান্তগ্রন্থ - রামমোহন রায়.pdf/২০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় অধ্যায় : প্ৰথম পাদ SUC. নিন্দিত যোনি প্ৰাপ্ত হয়েন এবং স্মৃতিতেও কহিতেছেন যে যাবৎ মোক্ষ না হয় তাবৎ কর্মক্ষয় হয় নাই ৷৷ ৩১৮ ৷৷ টীকা-৮ম সূত্ৰ-অৰ্থ-সৎকর্মজনিত পুণ্যের ক্ষয়ে (কৃতাত্যয়ে ) চন্দ্ৰলোকগত জীব কর্মবিশেষ সহ ( অনুশয়বানা) যে পথে আসিয়াছিল (যথা ইতম) তার বিপরীত মার্গে অবতরণ করে (অনেবম), ইহা লৌকিক (দৃষ্ট ), স্মৃতি, এই দুই প্ৰমাণে জানা যায়। কর্মফল ভোগের পর যে সামান্য কর্ম অবশিষ্ট থাকে তাহাই অনুশয়। কর্মের অবশেষ থাকিতে থাকিতেই 'জীবের অবতরণ হয় ( শঙ্করানন্দকৃত দীপিকা ) । তৈলভাণ্ডের তৈল নিঃশেষিত হইলেও একেবারে নিঃশেষ হয় না ; তলদেশে একটু থাকিয়াই যায় ; তেমনি কৰ্মফল ভোগের পরেও কর্মের লেশ অবশিষ্ট থাকে, তাহাই অনুশয় ; তাহাই অবতরণের কারণ । শ্রুতি কর্মীদের ও উপাসকদের পরলোকের পথ বিশদভাবে বর্ণনা করিয়াছেন, কর্মীদের পথের নাম পিতৃযান ও উপাসকদের পথের নাম দেবযান। চিতার অগ্নি হইতেই দুই পথ ভিন্ন। পিতৃযানের যাত্রীরা প্ৰথমে ধূমকে প্ৰাপ্ত হন। তাহারা ধূম হইতে রাত্রি, তাহা হইতে কৃষ্ণপক্ষকে, LBD DBB DBBDDDDuuSDD BDBBDBDBDBDS DBuD DBBD BBBBDS BD হইতে আকাশ, তাহা হইতে চন্দ্ৰমাকে প্ৰাপ্ত হন। সেখানে অজিত কৰ্মফল ভোগ করিয়া, ভোগশেষে প্ৰত্যাবর্তনের পথে, প্ৰথমেই আকাশকে প্রাপ্ত হন; তাহা হইতে বায়ু, তাহা হইতে ধূম, তাহা হইতে অভ্র অর্থাৎ হালকা মেঘ, তাহা হইতে মেঘ, তাহা হইতে বৃষ্টিরূপে পতিত হইয়া ফল, শস্য, বৃক্ষলতারূপে জাত হন । এই ব্রীহি, যব, ফল, শস্য রূপ হইতে উদ্ধার লাভ অতি কঠিন। সন্তানোৎপাদনে যাহারা সমৰ্থ, তাহারা ঐ ব্রীহি যাৰ ফল শস্য ভক্ষণ করিয়া সন্তানোৎপাদন করেন। সেই সন্তানই জীবপদ বাচ্য। এই জীব জন্ম হইতে মরণে এবং মরণ হইতে পুনরায় জন্মে প্ৰবেশ করে। জন্মমরণের চক্রের নিম্পেষণ হইতে নিষ্কৃতি লাভের একমাত্র উপায় ব্ৰহ্মসাধনা, আত্মজ্ঞান ; অন্য উপায় নাই। সুতরাং বিবেক জ্ঞানসম্পন্ন পুরুষের একমাত্র কর্তব্য ব্ৰহ্মসাধনা ৷ রামমোহন বলিয়াছেন ধূম আর আকাশাদির দ্বারা যায়, রাত্রি আর