পাতা:বেদান্তগ্রন্থ - রামমোহন রায়.pdf/২৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় অধ্যায় : তৃতীয় পাদ O বলা হইত। উদগাতা ( সামবেদীয় ঋত্বিক) স্তোত্র গান করিতেন এবং আরেকজন শলাকার সাহায্যে গানের সংখ্যা রক্ষা করিতেন। এই শলাকাগুলিই কুশ । মন্ত্রে আছে এই বনস্কতি অর্থাং বিশাল বৃক্ষের কাষ্ঠীদ্বারা নির্মিত। ভাল্পবিদিগের শ্রুতিতে এই কথা আছে। কিন্তু কোন বৃক্ষের কাষ্ঠ তাহা বলা হয় নাই। ভাল্পবিদিগের অন্য শাখা শাট্যায়নীদের মন্ত্রে আছে কুশ উদুম্বর ( যজ্ঞডুমুর) কাষ্ঠ নির্মিত। শাট্টায়নীদের এই বিশেষ অংশ অন্যশাখাতে গৃহীত হইল । ছন্দের দ্বারা স্তুতি করিবে ইহাই বিধি । কিন্তু ছন্দ দৈব ও আসুর এই দুই প্ৰকার ; কোন ছন্দে স্তুতি হইবে ? এক শাখায় পাওয়া গেল। দৈব ছন্দে স্তুতি করিবে। এই বিশেষ অংশ সর্বত্র গৃহীত হইল। রত্নপ্ৰভাটীকা বলিলেন, নবাক্ষর ছন্দই আসুর ছন্দ, অন্য সবই দৈব ছন্দ । অতিরাত্র যাগে ষোড়শি নামক যজ্ঞপিাত্রের স্তুতির বিধান অ্যছে ; কিন্তু সময়ের নির্দেশ নাই। একস্থানে পাওয়া গেল, সুৰ্য উদিত হইলে ষোড়শিপাত্রের স্তুতি করিবে। এই বিশেষ অংশ সর্বত্র গৃহীত হইল। বেদের বিধান, ঋত্বিক উপগান করিবেন। কিন্তু কোন ঋত্বিক ? অন্যত্র পাওয়া গেল, অধ্বষুর্গ (যজুবেদীয়) উপাসনা করিবেন। বুঝা গেল। অধ্বযু ছাড়া অপর ঋত্বিকরা উপগান করিবে। রামমোহন ২৭ সূত্রের ব্যাখ্যায়। এই সকল কথাই বলিয়াছেন। তাহার কথা বুঝিবার জন্যই এ সকল বিশদতর করার চেষ্টা হইয়াছে। রামমোহন এর পরে যাহা লিখিয়াছেন, তাহা যজ্ঞসংক্রান্ত মন্ত্র । দেবতার উদ্দেশ্যে কোন দ্রব্যত্যাগের নাম যজ্ঞ বা যাগ ।। যজ্ঞে সাধারণতঃ একাধিক যাজকের প্রয়োজন হইত। কেহ ঋকুমন্ত্র আওড়াইতেন স্পষ্টভাবে উচ্চস্বরে। কেহ বা যজুর্মন্ত্র আওড়াইতেন নিম্নস্বরে। কেহ বা সামগান করিতেন। ঋগবেদীয় প্ৰধান যাজকের নাম হোতা, মন্ত্র পড়িয়া দেবতাকে আহবান করিতেন। অধ্বযু্য যজুর্মন্ত্রে যজ্ঞে আহুতি দিতেন। সামগানের প্ৰধান ঋত্বিকের নাম উদগত। যজ্ঞবিশেষে তার সহকারীর প্রয়োজন হইত। সকলের উপরেও যিনি সব কাজ পরিদর্শন করিতেন, তিনি ব্ৰহ্মা | এদেরও সহকারীর প্রয়োজন হইত সময়বিশেষে । প্ৰধান যাগের পূর্বে যাহা অনুষ্ঠিত হইত, তাহ প্ৰযাজযাগ। পূর্বে যেমন প্ৰযোজযাগ, পরে তেমনি অনুযাগ যােগ । সকল যাগের কতগুলি সাধারণ নিয়ম